‘সংঘবদ্ধ আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়কে ফিরতে বাধ্য হবে সরকার’
সহায়ক থেকে সরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার জন্য আন্দোলন জোরালো করতে চায় বিএনপি।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ঐক্যের জন্য নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। ঐক্যের মাধ্যমে সারাদেশে সংঘবদ্ধ আন্দোলন হবে। সেই আন্দোলনে সরকার বাধ্য হবে নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন করতে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাৎ বাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
মওদুদ বলেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে। একদলীয় শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। এ জন্য তিনটি এজেন্ডা আছে।
প্রথমত - দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করা। তার মুক্তি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। দ্বিতীয়ত- ২০দলীয় জোট ছাড়াও দেশে গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তি রয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না করে রাস্তায় নামলে লাভ হবে না। এ জন্য প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করে হলেও এ ঐক্য গড়তে হবে। শুধু বিএনপির কথা চিন্তা করলে চলবে না। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ অধিকার ফেরাতে হলে নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। জাতীয় ঐক্য আনতে হবে।
তৃতীয়ত- এ ঐক্যের মাধ্যমে দেশে সংঘবদ্ধভাবে গণআন্দোলন হবে। সেই আন্দোলনের মুখে সরকার বাধ্য হবে আগামী নির্বাচন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করতে। এ তিন এজেন্ডা পূরণে প্রস্তুতি নিতে হবে। সব শ্রেণির মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই বিজয় অর্জন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এএইচ/জেআইএম