তরুণীকে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে আরিফ
রাজধানীর উত্তরায় কর্মজীবী এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আরিফ (২৫)। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানের চালাবন এলাকা থেকে আটক হওয়ার পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে এ দায় স্বীকার করেন তিনি।
আটক আরিফের বাড়ি পটুয়াখালিতে। গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা আরিফ স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক লে. কমান্ডার কাজী মো. শোয়াইব।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার আরিফকে দক্ষিণখান এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী ওই তরুণী ও আরিফ এক সঙ্গে ‘স্বপ্ন’র বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। তারা দুজন পূর্ব পরিচিত ছিলেন। আটকের পর আরিফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফ ওই তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে শনিবার দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকার পৃথক দুই স্থান থেকে আটক মো. বাবু (২২) ও আসলাম (২১) পুলিশের কাছে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে রিমান্ড চেয়ে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় উত্তরার রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স থেকে বাসায় ফেরার পথে ওই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী ধর্ষিত হয়েছে বলে আলামত মিলেছে।
সংগৃহীত আলামত যাচাই বাছাইয়ের পর এ সিদ্ধান্ত জানান ঢামেক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের প্রধান সমন্বয়কারী ড. বিলকিস বানু।
জেইউ/একে/আরআইপি