সময়ই বলে দেবে আন্দোলন কী ধরনের হবে : মোশাররফ
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকারের পতন হবে আমাদের আগামী আন্দোলনের প্রধান ইস্যু। আদালত দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। মুক্তি হবে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। সময়ই বলে দেবে কী ধরনের আন্দোলন হবে-শরম আন্দোলন হবে, না গরম আন্দোলন হবে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এবং খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েনশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব এ সমাবেশের আয়োজন করে।
খুলনার নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে মশাররফ বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে এই সরকারের নীল নকশা আপনারা খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে দেখেছেন। খুলনায় দলীয় ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করেছে। এখন গাজীপুরেও একই নীল নকশা তারা করছে। তবে খুলনায় যা করেছে, গাজীপুরে তা করতে পারবে না। কারণ গাজীপুর আর খুলনার মানুষ এক নয়।’
তিনি বলেন, ‘খুলনার অভিজ্ঞতা মূল্যায়ন করে সরকারের কূটকৌশল প্রতিহত করার জন্য আমরা আমাদের কৌশল পরিবর্তন করে মাঠে থাকব। এমপি-মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করানোর জন্য সংসদে নির্বাচনী আইন সংশোধন করা হয়েছে; যেন আমরা গাজীপুর নির্বাচন থেকে সরে আসি। কিন্তু আমাদের সরানো যাবে না। শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকব।’
সমাবেশে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা বলেন সাবেক এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেছেন। বার বার যান। কয়েকবার ভিজিট করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মরা-বাঁচার সমস্যা হলো তিস্তার পানি। সেই পানি নিয়ে কোনো আলোচনার বিষয়বস্তুই আনতে পারেন না। কোনো দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পানি নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘এই জন্য মানুষের আশঙ্কা হচ্ছে ভারত গিয়ে ১৪ সালের (২০১৪) ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো ষড়যন্ত্র করছেন কি না। এবার যদি তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে ভালো কোনো খবর আনতে পারেন, তাহলে মনে করব আপনার সফর যৌক্তিক; না হলে মানুষের আশঙ্কাই বাস্তবায়িত হবে। তবে জাতীয়তাবাদী শক্তি এই ষড়যন্ত্রকে ভয় পায় না। এদেশের জনগণ আগামী দিনে আপনাদের সকল ষড়য়ন্ত্র রুখে দাঁড়াবে। বিএনপি তাদের পাশে থাকবে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ড্যাব সভাপতি আজিজুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এসআর/এমএস