পোকামাকড়ের দংশনে খালেদা জিয়া অসুস্থ : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২৩ মে ২০১৮
ছবি-ফাইল

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, স্যাঁতস্যাঁতে-জরাজীর্ণ ভবন, দীর্ঘদিন পরিত্যাক্ত থাকলে যা হয়, এখন সেই রকমই অবাসযোগ্য ও নানা অসুখ-বিসুখ আক্রমণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে কারাগারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাস করার কক্ষটি। অসংখ্য পোকামাকড়ে আকীর্ণ কক্ষটিতে বাস করা যেন নরকবাস। পোকামাকড়ের দংশনে তিনি আরও বেশি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘(খালেদার) ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বাম হাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুই পায় ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারি ও ফুলে উঠছে। মাত্র কিছুদিন আগে চোখে অস্ত্রোপচার হওয়ার কারণে দুই চোখই সারাক্ষণ জ্বালাপোড়া করতে থাকে। এর সঙ্গে বহু প্রাচীন দেয়ালগুলো থেকে ঝরে পড়া সিমেন্ট ও বালি চোখ দুটির অবস্থা আরও গুরুতর অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যথায় চোখ দুটি সব সময় লাল হয়ে থাকে। রুমটি ভেজা ভেজা ও অস্বাস্থ্যকর ধূলাকীর্ণ থাকার কারণে তার প্রচণ্ড কাশি প্রতিদিন বেড়েই চলছে।’

রিজভীর অভিযোগ, খালেদার সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত না করে, দু:সহ জীবন যাপনে বাধ্য করে, তিলে তিলে বিপন্ন করে তোলাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য-সেটিই বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রাজক্রোধে খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দেশনেত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যেন সব সময় ক্রোধের আগুনে জ্বলছেন। বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপিকে ধ্বংস করাই যেন প্রধানমন্ত্রীর এ সময়ের প্রধান এজেন্ডা।

মাদক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ৯ দিনে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৪৩ জন। নিহত ব্যক্তিদের মাদক ব্যবসায়ী বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে প্রকৃত বড় বড় মাদক ডিলাররা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে কীভাবে? প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাড়িতে তারা দেখা-সাক্ষাৎ করছে। চারদিকে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে-সরকারি এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে। সন্দেহভাজনদেরও হত্যা করা হচ্ছে কোন উদ্দেশ্যে?

সাম্প্রতিক বন্দুকযুদ্ধের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘যত বড় অপরাধী হোক, তা বিচারবর্হিভূত হত্যার সুযোগ নেই। বিচার বর্হিভূতভাবে নির্বিচারে বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা করে পৃথিবীর কোথাও সামাজিক অপরাধ দমন করা যায়নি। মাদকের পশ্চাদভূমি বন্ধ না করে, গডফাদারদের না ধরে, শুধু ক্রসফায়ারের হিড়িক অব্যাহত রাখলেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে মাদকের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে এই ক্ষমতাসীনদের আমলে, ক্ষমতাবানদের পৃষ্ঠপোষকতায়। এই সকল ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা দেশকে রক্তাক্ত নির্বাচনের দিকে নিয়ে যায় কি না, সেটি নিয়েও এখন মানুষ ভাবছে।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।