‘বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, ভাবতে হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ১৮ মে ২০১৮

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে কি না সে বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। লক্ষ্মীপুর জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনকে ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচনে সাধারণ মানুষ মুক্ত মনে ভোট দিতে পারে নাই। আমাদের প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। মামলা আর বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়।

নির্বাচনের দিন যেসব কেন্দ্রে কোনো ধরনের গোলযোগ হয়নি সেসব কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি কারচুপি হয়েছে উল্লেখ করে
মওদুদ বলেন, এ নির্বাচনে আমাদের এখন দুটি জিনিস চিন্তা করতে হবে। একটা হলো, আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আর অংশগ্রহণ করবে কি না, সে ব্যাপারে আমাদের নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। কারণ এ ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অর্থহীন হবে। যেখানে মানুষ ভোট দিতে পারে না।

তিনি বলেন খুলনায় নির্বাচন করেছে সরকারের পুলিশবাহিনী। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের চেয়েও পুলিশ বেশি তৎপর ছিল। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী যাতে জয়লাভ করে তার ব্যবস্থা তারা করে দিয়েছে। সামনের নির্বাচনেও একই ঘটনা ঘটবে।

‘আরেকটা হলো, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে একটা জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। আবার নতুন করে প্রমাণ দিল যে এই নির্বাচন কমিশন একটি অদক্ষ, পক্ষপাতদুষ্ট, দলবাজ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বা তাদের অধীনে বাংলাদেশে কোনো স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। সুতরাং এই নির্বাচন কমিশন শুধু পুনর্গঠন নয়, এমন ব্যক্তিদের দিয়ে পুনর্গঠন করতে হবে যারা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। তাদের সাহস থাকবে, দেশপ্রেম থাকবে, মনোবল থাকবে, যাতে করে আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে পারে’, বলেন মওদুদ আহমদ।

খালেদা জিয়ার মুক্তি আর আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে হলে রাজপথের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে এখন আমাদের কঠোর কর্মসূচির চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করার।

‘শান্তিপূর্ণ, নিরীহ আন্দোলন করে এই সরকারের টনক নড়ানো যাবে না।’ এমন মন্তব্য করেবিএনিপর এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সেজন্য ঈদের পরে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন বেগবান করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ আয়োজক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।