ছাত্রলীগে পদ পেতে মরিয়া বিতর্কিতরাও

* ছাত্রদল-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা

* বিএনপি-জামায়াতমনা পরিবার

* হত্যা মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী, বিবাহিতরাও আছেন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন আগামীকাল শুক্রবার। বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এ ছাত্র সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠনটি এর মাধ্যমে নিজেদের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।

ছাত্রলীগের সুপার ইউনিটখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সম্মেলন গত মাসের শেষ দিকে হয়েছে। তবে এসব ইউনিটের কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে গুরুত্ব পাচ্ছে ঐতিহ্য

ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর একসঙ্গে কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগরের কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে এবারের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে সিলেকশনের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘদিনের অদৃশ্য সিন্ডিকেট ভাঙতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের প্রতি অনুগত, কর্মীবান্ধব, সৎ, যোগ্য ও মেধাবীদের হাতে ছাত্রলীগের পরবর্তী নেতৃত্ব তুলে দিতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডও খোঁজা হচ্ছে। আমলে নেয়া হবে গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানও।

দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ, ছাত্রলীগের কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। যদিও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ‘ছাত্রলীগে কোনো অনুপ্রবেশকারী নেই।’

এদিকে এবারের সম্মেলনে শীর্ষ চার পদের ( কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক) জন্য ইতোমধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা নেয়া হয়েছে। সংগঠনটির তিন’শর অধিক নেতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। আর এদের মধ্যে প্রায় দেড়শজন কিনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ফরম। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে যোগ্যদের হাতেই নেতৃত্ব দেয়া হবে। তবে মনোনয়ন ফরম কিনে এখন নেতা হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সংগঠনটির বেশকিছু বিতর্কিত নেতা। যাদের অনেকের বিরুদ্ধে ছাত্রদল-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা, বিএনপি-জামায়াতমনা পরিবার, ব্যবসায়ী, হত্যা মামলার আসামি, মাদক ব্যবসায়ী, বিবাহিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ধারা ৫ এর (গ) উপধারায় বলা আছে- ‘বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরিতে নিয়োজিত কোনো ছাত্র ও ছাত্রী ছাত্রলীগের কর্মকর্তা হতে পারবে না। চলতি কার্যকালের মধ্যে কারও ছাত্রজীবনে ব্যত্যয় দেখা দিলে নির্বাহী সংসদ তার সদস্যপদ বাতিল বা মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রাখতে পারবে।’

আরও পড়ুন- অভিযুক্তদের হাতে ছাত্রলীগের দায়িত্ব নয় : সোহাগ

পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিতর্কিত যারা

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক চাঁদপুরের মাজহারুল ইসলাম শামীম। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করার অভিযোগ রয়েছে। শামীম বিভিন্ন সময় সরকারের ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকে বাঁচাবেন বলে তার সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতি করতে বলেন। শামীমের বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। একটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি থাকাকালে দল থেকে মনোনয়ন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনও করেন তার বাবা। এলাকার সূত্র বলছে, তার চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির কুমিল্লা শহর শিবিরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার। তার বাড়ি বরিশালে। তিনি দলীয় কোন্দলের জের ধরে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের গণরুমের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর দায়ে ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারান। সংগীত বিভাগের এ শিক্ষার্থী পরবর্তীতে বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। বর্তমানে তিনি ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকালীন একটি মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি আছেন। নানা কারণেই বিতর্কিত বরকত এখন ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী।

তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ চান না বরকত হোসেন হাওলাদার সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসুন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে চাঁদনীচকসহ নিউমার্কেট এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। ২০১০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়ান বরকত। এ ঘটনার দায়ে ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বরকতকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তখন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক একাডেমিক ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করে ছাত্রলীগ।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত : ড. কামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী শাহরিয়ার কবির বিদ্যুতের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আছে।

ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলাম বিবাহিত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সংসদের এক উপ-সম্পাদককে বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়ের উকিল বাবা ছিলেন কুমিল্লা মহানগর জামায়ত নেতা মু. রেজাউল ইসলাম রফিক। এ ছাড়া দিদারের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম শিমুল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রশিবিরের সক্রিয় নেতা ছিলেন। যিনি পরবর্তীতে লন্ডনে জামায়াতকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেন। সাইফুল ইসলাম শিমুল চবির পরিসংখ্যানের ছাত্র থাকাকালে বিজ্ঞান অনুষদ শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

দিদারদের পরিবারের মধ্যে তার চাচাতো ভাই রাশেদুল ইসলাম শিবিরের সাবেক উচ্চপর্যায়ের নেতা ও বর্তমানে জামায়াতে বড় নেতা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে দিদার তার অনুগতদের দিয়ে পলাশী ফুলার রোডে চাঁদাবাজি করাতেন বলে অভিযোগ আছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ সেশনে ভর্তি হলেও এখনো স্নাতক শেষ করতে পারেননি। উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ের এই ছাত্রনেতার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হলেও পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় জামায়াত নেতাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তার বাবার সঙ্গে স্থানীয় বোদা থানা জামায়াতের আমিরের সুসম্পর্ক বহুদিনের।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগ নেতার বিয়ের কাবিননামা নিয়ে তোলপাড়

বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাদারীপুরের আরেফিন সিদ্দিক সুজন সাবেক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লার অনুসারী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হলে ফাউ খাওয়া, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হলে আশ্রয় দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। ২০১৬ সালে মাস্টার দা সূর্যসেন হলে তার কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ ও হল প্রশাসন। সুজনের বাবা পাকিস্তান আমলে জামায়াতের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তার মেজ ভাই নাহিদুল ইসলামও বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের আস্থাভাজন। বরিশালের এই রিয়াদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও তার আত্মীয়-স্বজন বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতপন্থী। তার এক চাচাতো ভাই এলাকায় ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক। আরেকজন বিএনপি নেতা। তার ভাই মুরাদ মেম্বারের বিরুদ্ধে নারী লাঞ্ছনা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগে আলোচনায় আছেন। তবে আত্মপ্রচারের কারণে নেতাকর্মীদের কাছে নিজেকে হাস্যকর করে তুলেছেন রব্বানী। বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে ফেসবুকসহ অখ্যাত কিছু অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে নিজের প্রচারণা করে থাকেন বলে অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে। এলাকায়ও তেমন একটা পরিচিত নন রব্বানী।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের বিরুদ্ধে হলে ও হলের আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। চাঁদা না পেয়ে হলের ক্যান্টিন বন্ধ করে দেয়া, ফটোকপির দোকান বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- ভোটের মাধ্যমে উল্টাপাল্টা নেতৃত্ব চলবে না ছাত্রলীগে

কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে রয়েছে ফুলার রোড ও পলাশীতে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দিনাজপুরের শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সভাপতি থাকা অবস্থায় সংগঠনের টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পরবর্তীতে আরেকটি কমিটিও হয় শিক্ষার্থীদের।

পদপ্রত্যাশী মাস্টার দা সূর্যসেন হলের সভাপতি মো. গোলাম সরওয়ারের বিরুদ্ধে নিজ দলের নেতাকর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছিল।

গোপালগঞ্জের আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। ২০১০ সালের ৩ মে শেখ কুদ্দুস নামে এক ব্যক্তিকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বুলবুল এক নম্বর আসামি। গোপালগঞ্জ থানায় মামলা নং-২৭২।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। এ ছাড়া তিনি বিবাহিত বলে অভিযোগ রয়েছে।

জসীম উদদীন হলের সাধারণ সম্পাদক রাজবাড়ীর শাহেদ খানের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ আছে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার নির্দেশে ওই হলের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রিফাত ইসলামের অস্ত্রোপচার করা ক্ষতস্থানে লাথি মারেন তার সহযোগীরা। এ ছাড়া হলে ইন্টারনেট বাণিজ্যেরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক হবেন ‘সিলেকশনে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিমের বিরুদ্ধে চাঁনখারপুলে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। গত বছরও চাঁনখারপুল মোড়ে মিষ্টির দোকান বনফুল থেকে চাঁদা না পেয়ে ম্যানেজারকে তুলে আনেন তার অনুসারীরা। পরবর্তীতে তাকে দিনভর নির্যাতন করেন তারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বিপ্লবের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের আগে ছাত্রদল করার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে জানায় তার এলাকার লোকজন।

পপদপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধেও ছাত্রদলের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। বগুড়ায় তার আত্মীয়-স্বজনদের অনেকে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত বলে তার এলাকার ছাত্রলীগের অনেক নেতা দাবি করেছেন।

বিয়ের বিষয় অস্বীকার করে দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম বলেন, আমি বিবাহিত না। এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।

বিতর্কিতদের সম্পর্কে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের আগামী দিনের নেতৃত্বে অভিযুক্তদের দায়িত্বে আনা হবে না। মেধাবী, সাহসী ও ত্যাগীরাই আগামীতে নেতৃত্বে আসবে।’

এমএইচ/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।