খালেদার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি : রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, এখনও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। আমরা তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার কথা বললেও সরকার ও কারাকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাতই করছে না। উল্টো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ তাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করছেন।
বিএনপির সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, গতকাল আমরা খবর পেয়েছি স্যাঁতসেতে পরিবেশে পরিত্যক্ত রুমে থাকায় খালেদা জিয়া প্রায়ই জ্বরে ভুগছেন। একইসঙ্গে তার কাশি লেগেই আছে।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাসহ ছয় হত্যাকাণ্ড আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় শক্তিমান চাকমাসহ ছয়জন নিহত এবং কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। অন্যদিকে নরসিংদীতে রায়পুরা বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত।
আরও পড়ুন : খালেদাকে নিয়ে চিকিৎসকদের আশঙ্কা
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে পুলিশ গণগ্রেফতার করে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খুলনা জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান রবিসহ ১১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইভাবে গাজীপুরেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিয়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গাজীপুরের এসপি ও খুলনার পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী। তিনি বলেন, এ ছাড়া দুই সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফা হোসেন চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, মামুন আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনির হোসেন, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/এনএফ/এমএস