নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ : সাংবাদিকসহ আহত ৫


প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৫
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সেনবাগে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। তখন ছাত্রলীগের একাংশের হামলায় একাত্তর টিভি ও জাগো নিউজ ২৪ ডট কমের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমানসহ চার সাংবাদিক আহত হন। বুধবার বিকেলে সেনবাগ উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত সংবাদকর্মীদের প্রথমে সেনবাগে পরে চৌমুহনীতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় সড়কের দুপাশে থাকা যানবাহন আটকে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সাধারণ জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পরপরই স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে জানান, তার কর্মীরা সাংবাদিকদের চিনতে পারেননি বলেই এমনটি হয়েছে।  

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে সেনবাগের জলাবদ্ধতা ও বন্যা দেখা দেয়ায় সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সংবাদ ও ভিডিও চিত্র ধারণ করছিলেন সাংবাদিকরা। বিকেলে উপজেলা সদরে নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য নেয়ার জন্য যাওয়ার পথে ডাকবাংলোয় পৌঁছলে সাংবাদিকদের বহনকারী গাড়িটি দেখামাত্রই সামনে ২০/২৫ জনের একদল যুবক বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র হাতে একাত্তর টিভি ও জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের জেলা প্রতিনিধি ও নোয়াখালী সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, এশিয়ান টিভি ও আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম মানিক ভূইয়া, ক্যামেরা পার্সন জয় ভূইয়া ও অনুপম সিংহের উপর আক্রমণ করেন। এসময় তারা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠি সোটা নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এক পর্যায়ে আরো বেপরোয়া হলে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই স্থান থেকে সরে আসলে তারা পিছু পিছু ধাওয়া করে।

খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেল (এএসপি) হাছান ইমাম ও সেনবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল, ডিবি ওসি আতাউর রহমান ভূঁইয়া ঘটনাস্থলে পৌঁছে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।

এদিকে পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় নোয়াখালীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও  ইলেক্ট্রনিক্স সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই রোববার বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কার্যনির্বাহী সংসদ থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি এইচ.এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আগামী এক বছরের জন্য সেনবাগ উপজেলায় ছাত্রলীগের সভাপতি ফিরোজ আলম রিগান ও মাজেদুল ইসলাম তানভীরকে সাধারণ সম্পাদক বলে লিখিতভাবে জানানো হয়। এ কমিটি নিয়ে ২২ জুলাই বুধবার বিকেলে সেনবাগ বাজারে নব গঠিত কমিটি ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মিজানুর রহমান/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।