গাজীপুরের এসপি খুলনার কমিশনারকে প্রত্যাহার চায় বিএনপি
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুরের এসপি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমরা গাজীপুরের এসপি ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে প্রত্যাহার চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইন-শৃঙ্খলা ব্যাহত করিনি। এরপরও পুলিশ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে । এটা লেভেল প্লেয়িংয়ের অন্তরায়। আমরা গণতন্ত্রের স্বার্থে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে যে তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হঠাৎ করে কাল থেকে গাজীপুর ও খুলনার পরিস্থিতিতে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। খুলনায় পুলিশ বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। ১৯ নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। আমাদের দুইজন স্থায়ী কমিটির সদস্য খুলনায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা যে হোটেলে রয়েছেন সেই হোটেল ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। পুলিশ সেখানে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে কিভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে তা বোধগম্য নয়। এর দায়িত্ব কমিশনকে নিতে হবে। এজন্য তাকে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছি।
গাজীপুরে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চললেও গত দুই একদিন থেকে হঠাৎ করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এজন্য সেখানকার এসপির প্রত্যাহার চেয়েছি।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকতুল্লাহ বুলু ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৫ মে এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএস/কেএইচ/এএইচ/পিআর