সাকার রায় ঐতিহাসিক : আওয়ামী লীগ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির যে রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন তাকে ঐতিহাসিক রায় বলেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার বিকেলে দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এ রায়ে জনগণের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হয়েছে। ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও কলঙ্ক মুক্তির আরো একধাপ এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনের আত্মা শান্তি পেয়েছে। একই সঙ্গে শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার সান্তনা ও স্বস্তি পাবে।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ যুদ্ধাপরাধী মামলার স্বাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি লাভ করল।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপিতে যুদ্ধাপরাধীরা আশ্রয় নেয়া শুরু করে। এ সময়ই সাকার মত হিংস্র মানুষ দলটিতে আশ্রয় নেয়। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ প্রিয় জনগণ থেকে অনেক আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞাণী এ পি জে আবদুল কালাম আজাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন নানক। তার পবিত্র রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দফতর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস প্রমুখ।
এএসএস/এসকেডি/আরআইপি