‘খালেদার জিয়ার ভিডিও’ নিয়ে রিজভীর ব্যাখ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪১ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘তারেকও চায় ক্ষমতা, তার বউও চায় ক্ষমতা’ খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্বলিত যে ভিডিও প্রচার হয়েছে সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘যে সরকার জাল-জালিয়াতি করে চলছে তাদের এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা ছাত্রজীবনের ফার্স্ট ইয়ার থেকে দেশনেত্রীকে চিনি। তিনি কখনও বাড়তি কথা বলেন না, অরুচিকর কথা বলেন না। বিভিন্ন সময়ে তিনি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কাটিং পেস্ট করে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে পরিবারের মধ্যে সমস্যা হয়েছে।’

রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘অপপ্রচারের সেল’ খোলা হয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা ব্যথার যেন শেষ নেই। তাকে নিয়ে তাদের অন্তহীন ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নানা অপপ্রচারের জন্য সেল খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপ-প্রেস সচিবের ফেসবুক আইডিতে নানা মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প বানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিতরা কাজ করে। কিন্তু তাদের মানসিকতা বস্তির চেয়েও নিম্ন মানের। উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কাটিং পেস্ট করে এই নোংড়া অপপ্রচার করছে। তাদের অন্তরে শিক্ষার কোনো আলো নেই। বাড়ির একটা বখাটে ছেলে যেমন ফেনসিডিল খায়, ছিনতাই করে, আওয়ামী লীগও তেমনি রাজনীতির বখাটে সন্তান।’

রিজভী বলেন, ‘এই ধরনের অপপ্রচার নিম্নরুচির পরিচায়ক। যারা কুরুচিসম্পন্ন এবং যারা অপরাজনীতি ও অসভ্যতার চর্চা করে তারাই কেবল অসত্য ও নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেয়। আওয়ামী লীগ কুৎসা সঞ্চারিত মনের বিকারে ভোগে। তাদের ঐতিহ্যে সভ্যতা ও সুরুচির কখনোই কোন নিদর্শন ছিল না। সে জন্য তাদের কোনো কথাই জনগণ বিশ্বাস করে না। আমি এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও অবনতি হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করার পর বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এখনও তার পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে সরকার প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে কি না তা নিয়ে জনমনে এখন নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার ক্রমাগত অবনতির খবরে গোটা জাতি এখন চরম উদ্বিগ্ন। দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভৎস মূর্তি মানবজাতিকেই শিহরিত করছে। আমি আবারও অতি দ্রুত দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

গতকাল দেশব্যাপী যুব দলের বিক্ষোভে ঢাকা মহানগর এবং পটুয়াখালীতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির এ নেতা। একই সঙ্গে তাদের মুক্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।