রাঙামাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে হাটবাজার বর্জন কর্মসূচি


প্রকাশিত: ০৭:৩৫ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৫
বুধবার জনসংহতি সমিতির আহ্বানে হাটবাজার বর্জন কর্মসূচির কারণে শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বনরূপা এলাকার বাজারগুলোতে সকাল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে

রাঙামাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে সকাল-সন্ধ্যা হাটবাজার বর্জন কর্মসূচি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে সরকারের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলাব্যাপি বুধবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এ হাটবাজার বর্জন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে।

এদিকে বুধবার শহরসহ জেলার অনেক এলাকা সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও বর্জন কর্মসূচির ফলে প্রায় সবগুলো বাজার সকাল ৬ টা থেকে বন্ধ রাখা রয়েছে। লোকজনের আসা-যাওয়া না থাকায় বাজারগুলো রয়েছে ফাঁকা।

কর্মসূচি সফল করতে ওই সময়ের মধ্যে জেলার সকল হাট ও বাজারে ওষুধের দোকানে জরুরি ওষুধ কেনাবেচা ছাড়া বাজারে আসা-যাওয়া, সকল ধরনের পণ্য কেনাবেচা এবং হাটবাজার, অলিগলিসহ সর্বত্র দোকানপাট খোলা রাখা থেকে বিরত থাকতে পার্বত্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় জনসংহতি সমিতি। কর্মসূচির ফলে এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার রেখেছে প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোস্তফা জামান জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের আহ্বানে জেলায় যে হাটবাজার বর্জন কর্মসূচি দেয়া হয়েছে এতে সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক ও তৎপর রয়েছেন। এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর কিছুই ঘটেনি। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষে বলা হয়েছে, জনসংহতি সমিতির প্রধান সন্তু লারমার বেধে দেয়া সময়সীমা চলতি বছর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ঘোষণায় সরকার এগিয়ে আসেনি। তাই পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে যেতে বাধ্য হতে হয়েছে।

সুশীল প্রসাদ চাকমা/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।