মানববন্ধন শেষ হওয়ার আগেই পালালেন বিএনপি নেতারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

‘গ্রেফতার আতঙ্ক’ নিয়ে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি শুরু হলেও আরও আগে থেকেই নেতাকর্মীরা জড়ো হন। কিন্তু শেষের দিকে নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা যায়।

বিএনপির এ মানববন্ধনকে ঘিরে যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল সতর্ক অবস্থানে।

মানববন্ধনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য চলাকালে নেতাকর্মীদের কর্মসূচি ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। আর সভাপতি হিসেবে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য শেষ না হতেই মানববন্ধন ফাঁকা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব এক দৌড়ে রাস্তার বিপরীতে চলে যান, এ সময় তার সঙ্গে অন্তত ২০ নেতাকর্মী দৌড় দেয়।

এদিকে হাবিবুর রশিদ হাবিবের দৌড় দেখে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকের কৌতূহল তৈরি হয়, তিনি কেন এভাবে দৌড় দিলেন?

এ সময় এক কর্মী বলেন, ‘ম্যাডাম কারাগারে আছে, সিনিয়র নেতারাও কারাগারে এখন হাবিব ভাইরা গ্রেফতারের টার্গেটে রয়েছে, তাই কৌশলগত কারণে ওনারা ওভাবে চলে গিয়েছেন।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তব্যে বলেন, ‘অনুমতি নেয়ার পরও আজকে পুলিশের এই যে আচরণ তা গণতান্ত্রিক নয়।’

বেলা ১২টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১২ মিনিট আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদীন ফারুক, আবুল খায়ের ভূইয়াসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন।

কেএইচ/জেএইচ/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।