‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রমাণ দেখাতে পারেননি’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বর্জন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমর্থনে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতা চাইছে এ বিষয়ে যেন জনগণের দৃষ্টি না পড়ে; সেজন্য তারা তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বিতর্ক সামনে এনেছেন। যা অত্যন্ত অসত্য এবং এভাবে করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’
প্রতিমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন তিনি।
আহমেদ আযম বলেন, ‘এই ধরনের কথা একেবারেই দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয়। তিনি কথা বলার আগে দেখাতে পারতেন তাহলে একটা ব্যাপার ছিল। সাংবাদিকরা তো ওনাকেই প্রশ্ন করেছে, যে বাংলাদেশে বিচারপতি আছেন, এরকম এমপি আছেন যারা অনেক দিন বিদেশি নাগরিক। কই তাদের নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন উঠলো না। উনি (প্রতিমন্ত্রী বললেন), না, আমি এ সব বিতর্কে যেতে চাই না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেন বিতর্কে যাবে না, বিতর্ক উস্কে দেবেন, আর নিজে বিতর্কের জবাব দেবেন না তা তো হতে পারে না। অযথা জিয়া পরিবার, বিএনপিকে খাটো করার একটা প্রয়াস। তারেক রহমান জন্মগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক আছেন, থাকবেন। কাজেই এ সমস্ত কথা বলে লাভ নেই। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।
আহমেদ আযম খান বলেন, ‘উনি (প্রতিমন্ত্রী) সংবাদ সম্মেলনে কোনো ডকুমেন্টস শো করতে পারেননি। উনি শুধু মুখে বলেছেন। ওনারা মুখে বলাতে এবং বিতর্ক উস্কে দেয়াতে খুব ওস্তাদ। যেহেতু বিষয়গুলো একেবারেই সত্য নয় এজন্যই ওনার বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। উনি উকিল নোটিশের যথাযথ জবাব দেবেন, নইলে ওনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটাতো পরিষ্কার উকিল নোটিশে বলা আছে। ’
আরও পড়ুন : ‘তারেক রহমান এখন আর বাংলাদেশের নাগরিক নন’
তিনি বলেন, ‘সরকারের জনপ্রিয়তা যে তলানিতে সেখান থেকে উঠে আসার জন্য আবারও ভারতের সহায়তা কামনা করছেন, আবারও ৫ জানুয়ারি সৃষ্টির জন্য ভারতের সহায়তা কামনা করছেন। যাতে করে মোদি সরকার আগের কংগ্রেস সরকারের সুজাতা সিংয়ের মত কেউ এসে সেরকম একটা নাটক মঞ্চস্থ করতে সহায়তা করেন। এ সমস্ত কারণে যাতে জনগণের চোখ অন্যদিকে থাকে, সেজন্য আজকে তারেক রহমানের নাগরিকত্বের বিতর্ককে সামনে আনা হচ্ছে। এগুলো অত্যন্ত অসত্য। এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ নয় বছর ধরে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন তারেক রহমান। এক/এগারোর সময়ে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে যান। এরপর থেকে তিনি সেখানে অবস্থান করে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। এখন তিনি কারাগারে আছেন। ওই মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয় খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে। আসামি সবাইকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।
কেএইচ/জেএইচ/এমএস