খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না। আর গণতন্ত্র মুক্ত না হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের একমাত্র প্রেরণা। বেগম জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। মামলার মাধ্যমে সাজা দিয়ে হাত-পা বেঁধে চক্রান্তের নির্বাচনের ষড়যন্ত্র অচিরেই নস্যাৎ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাইরে রাখতে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। দেশে যদি আইনের শাসন থাকতো, তাহলে আপিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া মুক্তি পেতেন। খালেদা জিয়াকে একা, একটি নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। যেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা নেই। খালেদা জিয়া আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। সরকার মিথ্যা ও সাঁজানো মামলায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে রেখেছে। খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে দেশে কোনো সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিনিধিত্বমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। জনগণ তা হতে দেবে না।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনা হবে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা যেভাবে চান, সেইভাবে নয়। তারেক জিয়াকে বীরের বেশে এ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। লন্ডন থেকে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন আতঙ্কিত। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে খালেদা জিয়া নির্দেশনা দিয়েছেন্। সেই লক্ষ্যে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। প্রয়োজনে দেশের সাধারণ জনগণ সমযোপযোগী কঠোর আন্দোলনে যাবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা হবে না। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। তারপর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহুবুবুর রহমান শামীম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমেদ, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
আবু আজাদ/এএইচ/আরআইপি