বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে সরকার


প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৫

সরকার বিএনপির তরুণ নেতৃত্বকে বিতর্কিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আলাল বলেন, সরকার শুধু বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বই নয়, বরং ভবিষৎ নেতৃত্বকেও ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।  সরকারের তল্পী বাহক প্রশাসন তাদের এ অপকর্মে সহযোগিতা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানকে মনগড়া ন্যাক্কারজনক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক এই নোংরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

তিনি বলেন, রাজীব আহসানকে যে অভিযোগে গ্রেফতার করছে তার সাথে রাজীবের কোন সর্ম্পক নেই। কক্সবাজারে সরকারদলীয় এমপি মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তাকে গ্রেফতার না করে নতুন নেতৃত্বকে কংলকিত করতে রাজীবকে গ্রেফতার করেছে।

তিনি আরো বলেন, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্চাসেবকদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের উপর নির্যাতন চালিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। যারা ভবিষৎ রাজনীতিতে ভূমিকা রাখবে সরকার তাদের উপর নির্যাতন চালিয়ে গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে। তাতে জাতীয় রাজনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে। স্বৈরাচারীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

যুবদল সভাপতি বলেন, আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যাতে নেতারা মুক্তি না পায়। ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসানকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। যদি তাকে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এটি ভূমেরাং হতে পারে যাতে ছাত্রলীগেও প্রবেশ করতে পারে।

রাজীব আহসানের মুক্তির ক্ষেত্রে আইনের সহজ সুযোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সরকার যেনো কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না করে উল্লেখ করে ছাত্রদল সভাপতির অভিলম্বে মুক্তি দাবি জানান আলাল।

যুবদলের এই নেতা বলেন, বিগত আন্দোলনে যুবদলের ২০ জন নেতাকর্মীকে গুম-খুন করা হয়েছে। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নীরব, যুগ্ম সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হামিদুর রহমান হামিদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু জামিন নিয়ে এখন বের হতে পারেননি। সরকারের নিকট আহ্বান জানাই আদালতকে প্রভাবিত না করে তাদেরকে জামিন দিন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সভাপতি কে আই এম খলিল, অ্যাডভোকেট নেছার আহমেদ, আব্দুল খালেক, ফরহাদ হোসেন আজাদ, মীর রবিউল ইসলাম লাবু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, মাশুকুর রহমান, অমেরেন্দু অপু, আব্দুল খালেক, কে এম জোবায়ের এজাজ, আলী আকবর চুন্নু, হারুন উর রশিদ, শহদিুল্লা তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।

এমএম/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।