‘কোটা আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি’
‘সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও গণতন্ত্র উত্তরণে সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘নাগরিক কণ্ঠ’ নামের একটি সংগঠন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন যেমন যৌক্তিক, তেমনি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও যৌক্তিক। এ জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য জনগণ প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত চারদিন ছাত্রদের আন্দোলন দেখেছি। অতীতে বাংলাদেশ মানুষ এরশাদবিরোধী, আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলন দেখেছে। ভবিষ্যতেও তারা দেখবে।’
সরকারবিরোধী এই নেতা বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন হলো জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমাদের আন্দোলন। এ দেশের সকল মানুষের স্বার্থ এখানে জড়িত। এগুলোর সঙ্গে সরাসরি জনগণ জড়িত। জনগণ আন্দোলনের জন্য সময়ের অপেক্ষা করছে। ইনশাআল্লাহ জনগণ যেদিন সময় অনুভব করবে, সেদিন দেখিয়ে দেয়া হবে।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘একজন মন্ত্রী বলেছেন- কোটা সংস্কার হলে রাজাকারের বাচ্চারা চাকরি পাবে। আজ তার প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতিই বাতিল করলেন। তাদের জেনেটিক প্রবলেম হচ্ছে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।’
বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমার বক্তব্য প্রচার করার সাহস দেশের কোনো মিডিয়ার নেই। প্রচার করলে সেই মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হবে।’
তিনি বলেন,‘ আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভিসির অনুমতি ছাড়া কোনো ছাত্রকে গ্রেফতার করতে পারত না। আর এখন একজন এডিসি বলেন, দেখছিস না কে এসেছে? একেবারে খাইয়া ফালামু’। এই দাবি মেনে নেয়ার ফলে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এটা ছিল যৌক্তিক আন্দোলন। সুতরাং এই আন্দোলনে কোনো মামলা থাকতে পারে না। সব মামলা তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রামিজ খানের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এসআর/জেডএ/পিআর