জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি জেএসডি’র
কর্নেল তাহের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাজনীতি ও রাষ্ট্র-ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল এমন দাবি করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি। এজন্য তাহের হত্যার দায়ে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারও দাবি করেছে দলটি।
সোমবার জেএসডি কার্যালয়ে কর্নেল তাহের দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংগঠনের নেতারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে দেশকে পুনরায় দ্বি-জাতি তত্ত্বভিত্তিক পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা শুরু হয়। অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে। এমতাবস্থায় দেশকে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুসংহত করার জন্যই কর্নেল তাহের ৭ নভেম্বরে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান রচনা করেছিলেন।
জেএসডি নেতারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির মদদে বিশ্বাসঘাতকতা করে ছিনিয়ে নেয়া ক্ষমতাকে সুসংহত করার জন্য জিয়াউর রহমান বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে। সিরাজুল আলম খান, আ স ম আবদুর রব, মেজর এম এ জলিল ও আবু ইউসুফ খান সহ অনেককে যাবজ্জীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
তারা বলেন, কর্নেল তাহের হত্যার ৩৯ বছর পরও আদালতের রায় থাকা সত্ত্বেও তাহের হত্যার বিচার হয়নি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের সাথে সাথে চীন ও বার্মাসহ উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি, ট্রান্সপোর্ট ইকোনমি ও উপজেলাভিত্তিক শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে এ অঞ্চলের দেশসমুহের যৌথ উন্নয়ন নিশ্চিত করা আবশ্যক।
দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, জেএসডি নেতা আতাউল করিম ফারুক, মো. সিরাজ মিয়া, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, দেলওয়ার হোসেন, জিয়া খোন্দকার, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আবদুর রাজ্জাক রাজা ও মোশাররফ হোসেন।
এসএইচএস/পিআর