ধানমন্ডিতে জিসান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ ছিনতাইকারী আটক
এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় বেড়াতে এসে ধানমন্ডি এলাকায় দুর্বৃত্তদের আঘাতে নিহত হয় আমিনুল ইসলাম জিসান। ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সম্প্রতি জিসান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা গেছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার দিনগত রাতে জিসান হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি-দক্ষিণ)। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, মোবাইল ফোন ছিনতাইকে কেন্দ্র করে জিসানকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল পেশাদার ছিনতাইকারীরা।
আটক ৭ জন হলো- হত্যাকাণ্ডের মুল আসামি মো. মেহেদী হাসান (২১), মো. শরীফ হোসেন (২১), মো. ইমন (২১), মো. হাসান আহম্মেদ ওরফে জনি (২০), মো. আসিফ ইকবাল ওরফে অনিক (২০), মো. অমিত হাসান (২১), মো. ওয়াসিফ উল্লাহ (২২)।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) রাজীব আল মাসুদ বলেন, মোবাইলফোন ছিনতাইকে কেন্দ্র করে গত ১২ মে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি লেকের রফিক চত্তরে আমিনুল ইসলাম জিসান (১৭) দুর্বৃত্তদের রডের আঘাতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধানমন্ডি বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ মে রাত ২টার দিকে জিসান মারা যান।
রাজীব জানান, এ ঘটনায় তার বাবা আহাজার মুন্সি বাদী হয়ে পরদিন ধানমন্ডি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ১৪ জুন ধানমন্ডি থানার কাছ থেকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব অর্পিত হয় গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (দক্ষিণ) বিভাগের কাছে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনের নাম্বার, ফোনের আইএমই নাম্বার ট্র্যাক করে হত্যাকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয় ডিবি পুলিশ। পরে ডিবির দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদের নির্দেশনায় এবং এডিসি রাজীব আল মাসুদের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নূর আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এই ৭ জনকে আটক করা হয়।
মূলত মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই ছিনতাইকারীরা জিসানকে আঘাত করেছিল বলে জানান রাজীব আল মাসুদ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জিসানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরে। পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর আদাবরে একটি ভাড়ায় থাকতেন তিনি।
জিসানের বাবা আজাহার মুন্সি বলেন, জিসান গোপালগঞ্জে বোনের বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। জিসান গোপালগঞ্জ এমএম মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় বেড়াতে আসে। কিন্তু ঢাকায় এসেই জিসান খুন হয়।
জিসান বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ২৮ পেয়েছিল বলে জানান তার বাবা আজাহার মুন্সি।
জেইউ/আরএস/এমআরআই