বিজ্ঞাপনের কারণে নাটকে অনীহা অমিতাভ রেজার
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা নতুন কিছু নয়। অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের কারণে দর্শকরাও দেশীয় চ্যানেল ছেড়ে বিদেশি চ্যানেলের দিকে ঝুঁকছে।
হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের নামী-দামী নির্মাতা ও কলা কুশলীরা। এবার বিজ্ঞাপন বিড়ম্বনা নিয়ে মুখ খুললেন এ সময়কার দর্শকপ্রিয় টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপন চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানালেন, নিজে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন বটে কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনের অতিরিক্ত প্রচারের কারণেই নাটক নির্মাণ করেন না তিনি।
অমিতাভ রেজা বলেন, ‘টেলিভিশন ফিকশন আমি বন্ধ করে দিয়েছি। এখন আর নাটক নির্মাণের প্রতি কোনও আগ্রহ নেই শুধুমাত্র অতিরিক্ত বিজ্ঞাপনের কারণে।’
তবে এবার বাংলাদেশের টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে বলেছেন, সরকার যে সম্প্রচার নীতিমালা করতে যাচ্ছে তাতে এ বিষয়টি থাকবে।
টিভি চ্যানেলগুলোতে নাটক বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে লম্বা সময় ধরে অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করাটা দর্শকদের বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
অনুষ্ঠানের মাঝে দীর্ঘ সময় ধরে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে অনুষ্ঠান নির্মাতা হিসেবে অমিতাভ রেজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও এখন আর মানসম্মত নাটকের প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। তার থেকে এখন টকশো এবং সংবাদের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর বিজ্ঞাপন থেকে তারা আয় করতে পারছে।’
অমিতাভ রেজা মনে করেন, ‘পণ্য বাজারজাত করার জন্য বিজ্ঞাপন দরকার। আর তার একটি মাধ্যম টেলিভিশন। অন্যদিকে রেভিন্যু সংগ্রহের জন্য টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন দরকার। কিন্তু তার তো একটা নীতিমালা থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দাতা, টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ এবং নির্মাতাদের নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি কার্যকর নীতিমালা করা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, অমিতাভ রেজা প্রথমবারের মতো সিনেমা নির্মাণ করছেন। ছবির নাম ‘আয়নাবাজি’। ছবিটির কেন্দ্রীয় আয়না চরিত্রে কাজ করছেন চঞ্চল চৌধুরী। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় মডেল ও উপস্থাপিকা নাবিলা।
ছবির মূল কাহিনি ও ভাবনা গাউসুল আলম শাওনের। চিত্রনাট্য লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম শাওন। এরইমধ্যে ছবিটির বেশ কিছু দৃ্শ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে।
এলএ/আরআইপি