‘বিএনপির বিরুদ্ধে ২৫ পোর্টাল ব্যবহার করছে আওয়ামী লীগ’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

বিএনপির অপপ্রচারে ২৫ অনলাইন পোর্টাল আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরীর। এ তালিকায় ‘বাংলা ইনসাইডার’ নামের একটি অনলাইন পত্রিকাও রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির আট নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আট নেতার মধ্যে আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরীর নামও রয়েছে।

আমীর খসরু বলেন, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবেই এটি করছে আওয়ামী লীগ। বহু বছর আগে যেমন সব দল বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল হয়েছিল, সংবাদপত্র বন্ধ, বিচার বিভাগের কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিল। সে কাজগুলো এখনো চলছে।

তিনি বলেন, দুঃখজনক হচ্ছে দেশের আজকে আর্থিক খাত কোথায়। কারো জানার বাকি নেই। দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস করে ফেলেছেন। লুটপাট করে নিয়ে গেছেন, আমানতকারী তার টাকাটা ফেরত পর্যন্ত পাচ্ছে না। দেশের ইতিহাসে কোথাও কোনো দিন এসব হয়নি। আপনি ব্যাংকে টাকা জমা করেছেন জমার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন না। সব ব্যাংক লুটপাট করে যখন টাকা শেষ হয়ে গেছে তখন আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমতি দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, এমন একটা পরিস্থিতিতে তারা দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতেই এ মিথ্যাচারের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। দৃষ্টি অন্য দিকে নিয়ে যেতে হলে তাদের এ ধরনের কাজ করতে হবে। মিথ্যা নিউজ করার জন্য ‘বাংলা ইনসাইডার’সহ আওয়ামী লীগ ২৫টি পোর্টাল করেছে।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত তাদের যে মিথ্যাচার এর মধ্যে এই নিউজ পোর্টাল একটি। এটাই শেষ নয়। আগামীতে আরও অনেক নিউজ দেখা যাবে। দুঃখ হচ্ছে আপনারা একটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে এভাবে ধ্বংস করে দিতে পারেন। যেই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের পক্ষ থেকে তাদের কাজটি সুচারুভাবে সম্পাদন করা। সত্যিকারভাবে যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে সেটা বের করা। আজকে এ প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে দিচ্ছেন। এ প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা আপনারা ধ্বংস করে দিচ্ছেন।

কেএইচ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।