আগামী নির্বাচনে গণেশ উল্টে যেতে বাধ্য : জাফরুল্লাহ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০১৮
ফাইল ছবি

গণস্বাস্থের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে সব শক্তির সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যমঞ্চ করে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করতে হবে। যদি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যায় তাহলে জনতার স্রোত তৈরি হতে বাধ্য। আর জনতার স্রোত তৈরি হলে আগামী নির্বাচন যেভাবেই হোক গণেশ উল্টে যেতে বাধ্য।

সোমবার তোপখানায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘সুশাসন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ কোনো এক দল বা এক ব্যক্তির অবদান নয়। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় যার যে অবদান তাকে তার স্বীকৃতি দিতে হবে। তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে। যারা বলেন, জিয়াউর রহমানকে তারা চিনেন না, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অংশগ্রহণ ও অবদান প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের মনে রাখা উচিত ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের পর জাতি জিয়াউর রহমানকেই চিনতো, তাদের নয়।

বিএনপি ও ২০ দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের জনগণের সামনে ওয়াদা করতে হবে আগামীতে আপনারা ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করবেন। স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের বীর মওলানা ভাসানী, সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দিন, জেনারেল ওসমানীসহ সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে মর্যাদা প্রদান করবেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করবেন।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র দাবিদার সরকার যখন শহীদদের তালিকা প্রণয়ন করতে পারে নাই তখন আর তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবহার করা ঠিক না। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যবহার করে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা ঘুষ আর দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি টাকা ব্যবহার করে ভোট চাওয়া অন্যায় ও অনৈতিক। প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন ভোট চাওয়া তার রাজনৈতিক অধিকার তখন জানতে ইচ্ছে করে তিনি কি ভুলে গেছেন সভা-সমাবেশ করা বিরোধী দলেরও রাজনৈতিক অধিকার। তিনি নিজের অধিকারের কথা বলেন অথচ অন্যের অধিকারের কথা ভুলে যান কেন?

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। সরকার মনে করছে শুধু তাদেরই সময়। কিন্তু তারা ভুলে গেছে সময় কখন কার আসে কেউ বলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এটা অত্যান্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জেলকে নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। জনগণ এতে বিভ্রান্ত নয়। সরকারকে মনে রাখতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হবে। বেগম জিয়াই হচ্ছেন গণতন্ত্রের প্রতীক।

বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেলেই সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। সরকার গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে যা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য শুভ হবে না। মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র যখন নিয়ন্ত্রিত তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও পদদলীত।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

কেএইচ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।