এবার সু চি-ম্যান্ডেলার সাথে খালেদার তুলনা
গণতন্ত্রের জন্য বিশ্বে অং সান সু চি এবং নেলসন ম্যান্ডেলা যেমন পরিচিতি পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও তেমনি বিশ্বে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে পরিচিতি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য জেল খাটছেন। বাড়ি হারাতে হয়েছে, আদরের ছেলেকে হারিয়েছেন এই গণতন্ত্রের জন্য। আগামীতে উনি বিশ্বনেতা হবেন। বিশ্ববাসীর কাছে গণতন্ত্রের মাতা হিসেবে পরিচিত হবেন। আজ যারা তাকে কারাগারে রেখেছেন তারা বুঝতে পারছেন না কাকে আটকে রেখেছেন।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ আয়োজিত এ সভায় তিনি বলেন, ‘আপনি দুর্নীতি করতে চাইলেই তা করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকেও একদলীয় করে ফেলেছে। এখন দুর্নীতিও একদলীয়ভাবে চলছে। তাদের বাইরে কারো দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। আপনি দুর্নীতি করতে চাইলে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহামুদ চৌধুরী বলেন, ‘১৭ বছর আগে দুর্নীতির জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন পেয়েছে স্বৈরাতন্ত্রের স্বীকৃতি। আগামীতে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ সরকারের স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে মানুষের কাছে সে স্বীকৃতি পেয়ে গেছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যেমন সন্ত্রাস হচ্ছে তেমনি রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যখন দুর্নীতি হয় সেটা ছোট সংখ্যায় হয় না। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। কুইক রেন্টালের নামে কুইক দুর্নীতি হয়েছে আর মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত সম্পদ কেড়ে নিয়েছে। ব্যাংকে এখন টাকা নেই। ঋণের মাধ্যমে ব্যাংক খালি করেছে। আর এটা পূরণ করছে ট্যাক্সের টাকা দিয়ে।
সভায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, আব্দুস সালাম আজাদ, নিপুন রায় চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিংকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কেএইচ/আরএস/জেআইএম
