মিথ্যা বলি, একবারেই মিথ্যা কথা : ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৮

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মস্থান ঠাকুরগাঁও গিয়ে তার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাগো নিউজকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এটা ওনার স্বভাব উনি বলতেই পারেন।’

ওই সমাবেশে ফখরুল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বিমান প্রতিমন্ত্রী ছিলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আমরা ক্ষমতায় এসে সেই বিমানবন্দর চালু করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গলা ফুলিয়ে কথা বলতে বলতে গলাও খারাপ হয়ে যায়। গলার চিকিৎসা করাতে হয়। সারাদিন মিথ্যা কথা বললে আল্লাহ নারাজ হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদিন মিথ্যা কথা বলেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিথ্যা বলি? মিথ্যা কথা, একেবারেই মিথ্যা কথা। এসব কথার জবাব তো আমি দেই না। উনি মিথ্যাচার করেন এটা ওনার স্বভাবসুলভ ব্যাপার। এটাকে আমি রুচিকর মনে করি না।

১৯৪৮ সালের ১ আগস্ট ঠাকুরগাঁওতে জন্মগ্রহণ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৮৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মির্জা ফখরুল তার শিক্ষকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৮ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন ফখরুল। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়ে হেরে যান। এক্ষেত্রে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল সামান্য। তখন খাদেমুল ইসলাম পেয়েছিলেন প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট এবং মির্জা ফখরুল পান ৪৭ শতাংশ। ১৯৯২ সালে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন ফখরুল। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রমেশ চন্দ্র সেনকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০০১ সালের নভেম্বরে নবনির্বাচিত চারদলীয় জোট সরকার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করলে সেখানে কৃষিপ্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মির্জা ফখরুল। পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর পদ লাভ করেন, যেটিতে তিনি ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বহাল ছিলেন। ২০০৮ সালের ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হন ফখরুল।

ঠাকুরগাঁও এলাকার ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে চিন্তা করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা কামাল আনোয়ার আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও মানুষের নেতা, গণমানুষের নেতা। তিনি গণতন্ত্রের কথা বলেন, সুশাসনের কথা বলেন। ন্যায়বিচারের কথা বলেন। এটা কি মিথ্যা কথা? প্রধানমন্ত্রীর কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ এটা কীভাবে দেখবে এমন প্রশ্নের জবাবে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমুর রহমান বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা নেগেটিভলি দেখবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নেতা। প্রধানমন্ত্রীর কথায় জনগণ বিরক্ত হয়েছে। মনে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজের সমালোচনা করে গেছেন।’

কেএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।