কঠোর আন্দোলনের ইঙ্গিত দিলেন মওদুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছেড়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট দেশের উচ্চতর আদালত আমরা পছন্দ করি আর না করি, তাদের রায় আমাদের মেনে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে সময় আসছে কতদিন আর আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো? একটা পর্যায় আসবে দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর চাইবে না। তখন বাধ্য হয়ে আমাদের তাদের সঙ্গে থাকতে হবে।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী যুব ফোরাম আয়োজিত 'বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু'র নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভে সরকারের কোনো ধরনের কৃতিত্ব নেই মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এ মাসে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে তার মানে আমরা এতদিন অনুন্নত দেশ ছিলাম। আমাদের সময় পর্যায়ে দেশ থাইল্যান্ড, মিয়ানমার অনেক আগেই উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এখানে সরকারের এমন একটা ভাব যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এটা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিজয়। যারা লুটপাট করেছে তারা উন্নয়নশীল স্বীকৃতিতে গর্ববোধ করছে। কিন্তু দেশের ১৬ কোটি মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি। ১ লাখ নতুন বেকার তৈরি হয়েছে, এখনও দেশে ৩ কোটি লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। ১ কিলোমিটার পথ যেতে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা সময় লাগে।’

বিচার বিভাগের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করছে এমন অভিযোগ করে সাবেক এ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করায় দেশের কোনো বিচারপতির মুক্ত মনে বিচার করার সাহস নেই। এ সরকারের আমলে যদি বাংলাদেশের সব চাইতে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে, সেটা হলো বিচার বিভাগের উচ্চতর আর নিম্ন আদালত বলেন অর্থাৎ বিচার বিভাগের স্বাধীনতাটা এ সরকার ছিনিয়ে নিয়েছে নানা কলাকৌশলে। তাই ইতিহাসে তারা (সরকার) কলঙ্কিত হয়ে থাকবেন।’

খালেদা জিয়াকে বেশি দিন আটকে রাখা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার জানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে অসম্ভব অবস্থা সৃষ্টি হবে দেশে। তাই যতদিন যাবে সরকারই ততই চেষ্টা করবে তাকে কারাগারে রাখার। কিন্তু কারাগারে বেগম জিয়াকে বেশি দিন রাখা সম্ভব হবে না। রাজনীতিবিদ হিসেবে এটা তার চ্যালেঞ্জ।’

মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি যতই বিলম্বিত হবে ততই তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া প্রমুখ।

কেএইচ/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।