‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ নয় ‘মাদার অব টেরর’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ১১ মার্চ ২০১৮
ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি না দিয়ে বরং তাকে ‘মাদার অব টেরর’ ও ‘মাদার অব থিফ’ উপাধি দেয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার রাজনীতিতে যে দুর্গন্ধ-দুর্বৃত্তায়ন ছড়িয়েছেন তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দিয়ে তা রোধ করা সম্ভব নয়।

রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, খালেদার গণতন্ত্রের নমুনা হচ্ছে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিলেন। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অফ টেরর’ উপাধি দিয়েছেন বলেও দাবি করেন হাছান মাহমুদ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দিয়ে জাতির সঙ্গে মশকারা করেছেন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের দেশে কানা ছেলের নাম রাখেন পদ্মলোচন। তেমনি দুর্নীতিবাজ নেত্রীকে নাম দিলেন মাদার অব ডেমোক্রেসি। আসলে তার নাম ‘মাদার অব থিফ’ হওয়া উচিৎ। তার দুই ছেলে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। তাদের দুর্নীতি প্রমাণিত এবং তিনি নিজেও চোর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি সম্পর্কে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের দলের কেউ উপাধি দেয়নি। বিশ্ব গণমাধ্যম ও জাতিসংঘ আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন উপাধি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

আয়োজক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সামসুল হক টুকু, তাঁতী লীগের কার্যকারী সভাপতি সাধনা দাসগুপ্ত, সংগঠনের সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

এইউএ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।