বরিশালে কীর্তনখোলা লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত
বরিশাল নদী বন্দরে ভিড়ানোর সময় এমভি কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ভেঙেছে বোলার্ডে এবং ইস্পার্ড হেলে পন্টুনের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এতে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার প্রাথমিক ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করেছে বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এমভি কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের মাস্টার মো. নূরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় তাদের লঞ্চের নিয়মিত ট্রিপ ছিল। তবে ঈদে স্পেশাল ট্রিপের লঞ্চ পন্টুনে তাদের স্থান দখল করে রাখে। পন্টুনে ভিড়ানোর জন্য ঘণ্টা ধরে নদীর মাঝখানে অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর তারা ভিড়তে গেলে ধাক্কায় দুইটি বোলার্ড ভেঙেছে এবং ইস্পার্ড কাত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিনশ টন ওজনের লঞ্চ ভিড়ানোর জন্য। সেক্ষেত্রে তাদের লঞ্চের ওয়েট কয়েকগুণ বেশি। এত করে একটু ধাক্কা লাগলেই পন্টুনে সমস্যা হয়।
বন্দর নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদে নিয়মিত বলতে কোন কথা নেই। যে লঞ্চ আগে আসবে সে আগে ঘাটে ভিড়াবে এটাই নিয়ম। এক্ষেত্রে কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের মাস্টারকে দায়ি করেন তিনি।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আবুল বাশার মজুমদার জানান, চার সদস্যের টিম পন্টুন পরিদর্শন করে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে নির্ণয় করেছেন। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানানোর পর তারা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান তিনি।
সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর