বিএনপির মানববন্ধন-বিক্ষোভে যান চলাচল স্থবির
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পাঁচ হাজারের অধিক নেতাকর্মী সমাবেত হয়ে মানববন্ধন থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে প্রেস ক্লাবের আশপাশ এলাকার রাস্তায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই মানববন্ধন শুরু হয়। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাড়ও ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন কর্মসূচিতে। নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন থেকে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীর সমাবেশ ঘটেছে প্রেস ক্লাব এলাকায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ। মানববন্ধন কর্মসূচি গণজমায়েতে রূপ নেয়ায় প্রেস ক্লাব, পল্টন, হাইকোর্ট, কদম ফোয়ারা ও শান্তিনগর এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে।
কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নাল আবদীন ফারুক, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ অসংখ্য নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত রয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক ও বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াসহ জোটের নেতারা এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি। তাকে মুক্ত করেই আমরা বাড়ি ফিরবো।
মানববন্ধনকে ঘিরে প্রেস ক্লাবের সামনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির এ কর্মসূচিতে কোনো বাধা দেয়নি। তবে যানজট তৈরি ও রাস্তায় অবস্থানের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিরক্ত সাধারণ যাত্রীরা।
আবদাল হোসেন নামের এক বাসযাত্রী বলেন, আমি মিরপুরে যাব। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে পল্টন ও প্রেস ক্লাবের মধ্যে বাসে বসে আছি। বাস কখন ছাড়বে জানি না।
অপর যাত্রী আলাল মিয়া বলেন, যাবো আব্দুল্লাহপুর। গুলিস্তান থেকে এখানে প্রেস ক্লাব এলাকা পার হতে দেড় ঘণ্টা এখানেই শেষ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার রিফাত রহমান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার জন্য নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে। বিষয়টি আমরা রমনা ক্রাইম বিভাগকে জানিয়েছে।
এ বিষয়ে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, বিএনপি নেতাকর্মীদের মানবন্ধনের কারণে রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়নি, তবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এমএইচএম/জেইউ/এমবিআর/এমএস