শেখ হাসিনার ভাষণে জনগণ নয়, বিএনপিই হতাশ : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে জনগণ নয়, বিএনপিই হতাশ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নেতারা এখন আবোল তাবোল বকছেন। মিথ্যাচারের পুরনো ভাঙা রেকর্ড আবারো বাজাচ্ছেন তারা। আজ তারা (বিএনপি নেতা) হতাশার বালুচরে হাবুডুবু খাচ্ছেন।

আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে তারা তাদের ভোট ব্যাংকের যে ক্ষতি করেছেন তার মাশুল তাদের অনেকদিন দিতে হবে। এ মাশুল শুধু নির্বাচনে নয়, আরও অনেক দিন দিতে হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার, এটা সুযোগ নয়। সরকারের দয়া দাক্ষিণ্যের ওপর বিএনপি নির্বাচন করবে? তাহলে সংলাপে বসাবসি কি প্রয়োজন? এখানে জটিলতা আছে বলে জনগণ মনে করে না। সংলাপ কেন হবে না? প্রয়োজন হলে হবে কিন্তু এখন নির্বাচনের ব্যাপারে সংলাপের প্রয়োজন দেখছি না। তাছাড়া সংলাপের রাস্তা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বন্ধ করেছেন। টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অসৌজন্য আচরণ করেছিলেন। অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার করেছিলেন। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে গণভবনে আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অন্যরকম হতো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আরাফাত রহমান কোকো মারা যাবার পর প্রধানমন্ত্রী তাকে সমবেদনা জানাতে গেলে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছিল বিএনপি। সেদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে সংলাপের দরজা বন্ধ করেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংলাপের আহ্বান বিএনপির স্ট্যান্টবাজি, সংলাপের কথা যতই বলে। সংলাপের মানসিকতা তাদের মধ্যে নেই। সংলাপ তারা চাই না, সংলাপের ইচ্ছা থাকলে সেদিন নোংরা ভাষায় সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করতো না। ক্রাইসিস পরিস্থিতি সৃষ্টি তারা জনগণকে নিয়ে করতে পারবেন না। তাদের জনগণের সমর্থন নেই। তারা পারবে আগুন সন্ত্রাস করতে। তবে এটা করলে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে। সংলাপের দরজা আমরা বন্ধ করি নাই। রাজনৈতিক দল হিসেবে তা আমরা পারি না। তবে সেটা বিএনপির সঙ্গেই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অন্য কারো সঙ্গেও হতে পারে। আর নির্বাচন সুষ্ঠু হলে সংলাপের প্রয়োজন কি?

আওয়ামী লীগের শাসনামল পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের সঙ্গে তুলনার কঠোর সমালোচনা করে কাদের বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামল আইয়ুব খানের সঙ্গে তুলনা করে, তারা প্রকারান্তরে পাকিস্তানের ভাবধারায় বিশ্বাস করে এবং তাদের রাজনীতি এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উল্লেখ নেই মওদুদ আহমেদ এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, মওদুদ সাহেবের ব্যাপারে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। তিনি বহুরূপি ব্যারিস্টার। তিনি আইনের কথা বলে বেআইনি কথা বলছেন। সংবিধানে সবই আছে। আইন আছে, অনেক বিধি-বিধান আছে। আপনি আরেকবার ভালো করে সংবিধান দেখবেন। প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণ জনগণ গ্রহণ করেছে। এ ভাষণ যারা শুনেছেন তারা এক বাক্যে গ্রহণ করেছে, প্রশংসা ও সমর্থন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ গঠনমূলক ইতিবাচক ও রাষ্ট্রনায়ক সুলভ। এ ভাষণ পরবর্তী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নয়, পরর্বতী প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। দলমত নির্বেশেষে এমনকি বিএনপি সমমনা ও সমর্থকরাও পজেটিভ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখেন। তিনি জাতির স্বার্থে এ ভাষণ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, রোকেয়া সুলতানা, বিপ্লব বড়ুয়া, আনোয়ার হোসেন, গোলাম রাব্বানী চিনু প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।