ঈদে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ : বিএনপি
ঈদকে কেন্দ্র করে সবক্ষেত্রে চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য বেড়েছে দাবি করে বিএনপি’র মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, সরকার এই চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এসব চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের লোক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ড. আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন। রিপন বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই চাঁদিবাজির দৌরাত্ম্য বাড়ে। কিন্তু এ বছর তা কয়েকগুণ বেড়েছে। সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে আগেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। জনগণের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
ঈদের সময়ে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পারস্পরিক ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঘটনাকে বর্তমান ‘সংঘাতময়’ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘এ বছর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যের সঙ্গে বিবেচনা করতে চাই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে হানাহানি দ্বন্দ্ব সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্র যখন সংটাপন্ন, রাজনীতিবিদদের পরস্পরের প্রতি বিদ্বষপূর্ণ আচরণের সংস্কৃতির কোনো পরিবর্তন ঘটছেনা। এই পরিস্থিতি দুটি প্রধান দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার শুভেচ্ছা বিনিময়কে জনগণ শুধুমাত্র লৌকিক ও তাৎপর্যহীন একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করতে নারাজ।’
তিনি বলেন, রাজনীতি সম্পর্কে মানুষের সম্মানের জায়গা খুব বড় নেই। ইতিমধ্যে রাজনীতিবিদদের পারস্পরিক আচরণ বিদ্বেষমূলক কথাবার্তার মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্মান নষ্ট করে দিচ্ছি। সেই জায়গা থেকে উত্তরণ ঘটাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে একটি ইতিবাচক ধারণা দিতে চাই। এজন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান রিপন।
পুরোনো ঐতিহ্য অনুযায়ী ঈদের পর রাজনৈতিকদলগুলো যেন বিবাদ ও কথার বাক্যবাণে পরিবেশ নষ্ট না করে সেই আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, তাহলে শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই বিষয়টি লোকদেখানো হয়ে যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শারিরীক অবস্থা ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার (মির্জা আলমগীর) শারিরীক অবস্থা ভালো নেই। দ্রুতই বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবেন। তবে বিষয়টি এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। তার পরিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ কাইয়ুম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্য দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এসএইচএস/আরআইপি