সোহরাওয়ার্দী না পেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় বিএনপি
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন আগামী ৫ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া সম্ভব না হলে নয়াপল্টনে সামনের রাস্তায় তা আয়োজন করতে চায় বিএনপি।
এজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছে দলটি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
২০১৫ সাল থেকে ৫ জানয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ৫ জানুয়রি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। এখনও বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম সেখানে ৫ জানুয়ারি অখ্যাত ও অজানা একটি দলকে নাকি অনেক আগেই জনসভার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে যে দলটি জনগণের ভোটে বারবার ক্ষমতায় থেকেছে, যে দলটি বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে, যে দলটির একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে, সে দলটির আবেদনকে পাশ কাটিয়ে অনেক আগেই অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ যে কথা বলছে সেটি সরকারের হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ। এটি সরকারের হিংসাপরায়ন নীতির একটি অংশ।
তিনি বলেন, ‘সভা সমাবেশ করা রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসার পর থেকে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে চলেছে। বিএনপিকে সভাসমাবশে বাধা দেয়া হয়েছে বারবার। আপনারা দেখেছেন, ছাত্রদলের সমাবেশে কীভাবে পুলিশ কর্তৃক বাধা দেয়া হয়েছে। সমাবেশস্থলের গেটে তালা লাগিয়ে রাখা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন এবং এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘক্ষণ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তায় পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হলে আলোচনা সভাটি দেরিতে হলেও সম্পন্ন হয়।’
রিজভী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, সরকার বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে। সমাবেশের অনুমতি দিয়ে বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ করে দেবে। যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া হয় তাহলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএম/জেডএ/এমএস