খালেদার নেতৃত্বে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা যে চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সে সাক্ষ্য আজকের বাংলাদেশ দেয় না। আজকে বাংলাদেশ পুনর্জন্ম, নবজাগরণের প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন আজকে শেষ হয়ে যায়নি। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুনরায় মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে।

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'রক্তঝরা মতিহার : মৃত্যুঞ্জয়ী রিজভী আহমেদ, ২২ ডিসেম্বর ৮৪' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট'স অ্যাসোসিয়েশন।

মঈন খান বলেন, ‘আমরা এখন শুনি আজকে যারা সরকার তারা নিজেদের দাবি করে স্বাধীনতার শক্তির দল। যেদিন স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেদিন তাদের ভূমিকা কি ছিল? এটা ইতিহাসে সত্য, এটা যতই অপ্রিয় হোক না কেন, আওয়ামী লীগ কিন্তু অস্বীকার করতে পারবে না। তারা সেদিন ছিল পলায়নপর রাজনৈতিক দল। তারা সেদিন সীমানা পারি দিয়ে অন্য স্থানে চলে গিয়েছিল। সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার যে সাহস সেটা তারা দেখাতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে তারা যতই নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের দল দাবি করুক না কেন সে শক্তি দেখিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এটা শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্ব স্বীকৃত। আওয়ামী লীগ যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে তারা এমন কোনো কাজ প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে না যে তারা স্বাধীনতার পক্ষে কোনো কাজ করেছে।'

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এ নীতি নির্ধারক বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ সেটা কি সাক্ষ্য দিচ্ছে? আমি মাঝে মধ্যে পত্রিকায় দেখি তারা বলে বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। কিসের রোল মডেল? বলতে কি লজ্জা হয় না? কিসের রোল মডেল সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে? আমরা (সব রাজনীতিবিদরা) গণতন্ত্রকে হত্যা করেছি, আমরা উন্নয়নের নামে এ দেশে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছি। যারা সরকারের ওপর নির্ভরশীল সেই গুটিকয়েক মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। তারপরও আমরা (রাজনীতিবিদরা) কোনো লজ্জায় বলি বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল? এ কথাগুলো আমাদের (বিএনপি) বলতে হবে, আর চুপ করে থাকলে চলবে না।

তিনি বলেন, যখনি আমরা (বিএনপি) কথা বলতে যাবো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যাবো তখনি কিন্তু আজকের এ স্বৈরাচারী সরকার ৮৪ সালের স্বৈরাচারী সরকারের মতো ছেড়ে দিবে না। বিগত ৯ বছরে সেটা দেশের মানুষ দেখেছে। যারাই এর প্রতিবাদ করেছে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে তারাই জেল খেটেছে, পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে, গুম হয়ে গেছে, তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। যারা সেই পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলবে, সেই বেদনা শুধু তারাই বুঝবে।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবিরের সঞ্চালনায় এবং সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।

এমএম/জেএইচ/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।