কুড়িগ্রামে হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭


প্রকাশিত: ১২:০৭ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৫

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাগলার হাট বাজার থেকে কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মোত্তালেব চাঁদকে অপহরণ করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি নজরুল ইসলাম মজনুসহ ৭ জনকে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ তার দফতরে ডেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ জানান, ২০ মে রাতে বাড়ি ফেরার পথে কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব চাঁদকে অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। অপহরণের ৩ দিন পর বগুড়া সদরের মন্ডলধরণ নামক স্থানে ধানক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে, অপহরণকারীরা নারায়ণগঞ্জের রূপসি থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরই সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণ এবং হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সবাইকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়।

পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় গত ২ জুন নীলফামারী থেকে গ্রেফতার করা হয়  হাশেম আলী ওরফে শাহীন ওরফে মন্টুকে এবং ভুরুঙ্গামারীর আন্ধারীরঝার থেকে গ্রেফতার করা হয় আকরাম আলীকে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং মূল আসামির স্ত্রীর মোবাইলের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে নরসিংদী জেলা থেকে সংঘবদ্ধ চক্রের অপর ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম পুলিশের একটি বিশেষ দল।

এ অভিযানে নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সহযোগিতা করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন এই চক্রের মূলহোতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ওরফে মজনু, রাসেল, লুৎফর রহমান, কামাল উদ্দিন, শেখ ফরিদ, অন্তর ও সোহাগ। আসামিদের মধ্যে দুজনকে কুড়িগ্রামে আনা হলেও অপর ৫ জন নারায়ণগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এরা মাইক্রোবাস, অটো ছিনতাই, হত্যা, অপহরণ এবং ভাড়ায় খুনসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে। বাকিদের বাড়ি বরিশাল, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। প্রায় এক বছর আগে ভুরুঙ্গামারীর সীমান্ত এলাকায় একই পরিবারের চারজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যার ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নাজমুল হোসেন/এসএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।