স্বৈরাচার এরশাদও এত খারাপ ছিলেন না : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ৯০ সালে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে। সেই এরশাদও এত খারাপ ছিলেন না। অন্তত তার একটা নিয়ম সৌজন্যবোধ ছিল যে কোনো জনসমাবেশে গুলি চালাবে না। আপনি (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) এ কয়েক বছরের মধ্যে কতজন মেরেছেন, কত মায়ের বুক খালি করেছেন কতজন স্ত্রীর বুক খালি করেছেন, হিসেব করলে খুঁজে পাবেন না। কারাগারে রুদ্ধ আমাদের নেতাকর্মীরা।

বুধবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, যে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে। দুর্ভাগ্য সেই স্বৈরাচারের পতন হয়নি। এরশাদ এখনো টিকে আছে। তার দোসর আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে থাকতে সহেযাগিতা করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে বাংলাদেশের সামনে বিরাট সংকট। এত বড় সংকট কখনো আসেনি। আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিপন্ন। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ না হই। সবাই একসঙ্গে এ অপশাসন অপশক্তি দুঃশাসনকে পরাজিত করতে না পারি তাহলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি বলেন, আমাদের সবারই এক কথা। আমরা সংঘাত সংঘর্ষ চাই না। আমারা আমাদের জনগণের মতামত প্রকাশের যে অধিকার তা চাই। এটা তো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। রাষ্ট্রের মালিক আপনারা না। সেই যায়গা থেকে আপনারা আমাদেরকে বঞ্চিত করছেন।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জেনে গেছেন আপনাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণের সমর্থন নেই। ভোট যদি হয় তাহলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খােকন, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।

এমএম/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।