‘বিএনপির জনসমর্থন দেখে সরকার দিশেহারা’
বিএনপির জনসমর্থন দেখে বর্তমান সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে অালোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। অালোচনা সভার অায়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সরকার বড় গলায় ঘোষণা করেছিল, রাজনীতিতে বিএনপির অস্থিত্ব নেই। কিন্তু তারা দেখেছে, বেগম জিয়া দেশে অাসার পর রাস্তায় গণজোয়ার উঠেছিল। কক্সবাজার যাওয়ার পথে জনসাধারণের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। ১২ নভেম্বরের সমাবেশে অান্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ, রাজধানীতে সব গণপরিবহন বন্ধের পরও জনস্রোত বয়ে গিয়েছিল। বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থনের এ জোয়ারে সরকার দিশেহারা।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে দূরে রাখা হয়েছিল। তবে ২০১৪ অার একাদশ নির্বাচন এক নয়। অনেক নদীর পানি গড়িয়েছে, বেগম জিয়া ছাড়া দেশে অার কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া যাবে না। অাগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। যত ষড়যন্ত্র করা হোক, এ নির্বাচনে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অংশ নিবে। সরকার যদি ২০১৪-এর মতো নির্বাচন করার চেষ্টা করে, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়, জনগণ তাহলে রাস্তায় নেমে তাদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার উদ্ধার করবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে, জিয়াউর বিরুদ্ধে, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কেননা, যারা এ দেশের ভালো চায় না, সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করতে চায়; তারা জিয়া সহ্য করতে পারেনি, তারেককেও সহ্য করতে পারছে না; এ কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা বলেন, বর্তমান সরকার অনেকবার বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। ১/১১-এ একবার তারেককে জেলে ঢুকিয়ে রিমান্ডে তার মেরুদণ্ড ভেঙে ও বেগম জিয়াকে জেলে দিয়ে বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ও তার মন্ত্রীরা বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিবেন, তারেক জিয়াকে অাসতে দিবেন না, বিএনপিকে রাজনীতি শূন্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মহিলার দলের সভাপতি অাফরোজা অাব্বাসের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা অাহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন, বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহ সম্পাদক শাম্মী অাকতার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের সভাপতি রাজিয়া অালিম প্রমুখ।
এমএম/জেএইচ/এমএস