যৌতুক দিতে না পারায় পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর আত্মহত্যা


প্রকাশিত: ০৬:৫৯ এএম, ০২ জুলাই ২০১৫
প্রতীকী ছবি

যৌতুকের পালসার মোটরসাইকেল দিতে না পারায় স্বামীর নির্যাতনে মাগুরার শালিখা উপজেলার নাঘোষা গ্রামে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শান্তা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে জামাই পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করে নিহতের চাচা লাইচুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শালিখা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গৃহবধূ শান্তা খাতুনের মামা মো. আশরাফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, প্রায় ৯ মাস আগে মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মৃত বাবু শেখের ছেলে পুলিশের কনস্টেবল মারুফ হোসেনের সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মারুফ ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য শান্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর চাপ দিতে থাকেন। শান্তার বাবা কৃষিজীবি শহিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় জামাইকে বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী ও নগদ টাকা দিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি শান্তা বাবার বাড়ি এলে জামাই ফোনে তার কাছে ফার্নিচার ও পালসার মোটরসাইকেল দাবি করেন। শহিদুল ইসলাম ধারদেনা করে কিছু ফার্নিচার তৈরি করে জামাইকে দেয়ার কথা জানান।

গতকাল বুধবার বিকেলে জামাই মারুফ পালসার মোটরসাইকেলের দাবিতে শান্তাকে ফোনে যৌতুক না পেলে তালাক দেয়ার হুমকি দেন। এতে শান্তা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বুধবার রাতে এক সময় তিনি তার ঘরের ভেতরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে রাত ১১টার দিকে তাকে  উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মারুফ, তার মা, ননদ ও ভাসুরসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শালিখা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ জাগো নিউজকে জানান, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।