এলডিপির অনুষ্ঠানে ইফতারির হাহাকার
বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনীতিবিদদের সম্মানে রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ইফতারির আয়োজন করেছিল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। তবে ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত প্রায় ৭০ ভাগ অতিথিকেই ইফতার পরিবেশন করতে পারেনি দলটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইফতার নিয়ে এরকম অব্যবস্থাপনার কারণে ইফতার না করেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছেন বেশিরভাগ অতিথি। টেবিলে বসার পর অনেকে একটু পানি পর্যন্ত না পাওয়ায় নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ইফতার নিয়ে এরকম হাহাকারের ঘটনায় বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও এলডিপি একে অপরকে দায়ী করছেন। বুধবার মাগরিবের আজানের পর এই নিয়ে সেখানে ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছিল।
অনুষ্ঠানস্থলে দেখা গেছে, এলডিপির ইফতারে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য একটি পেঁয়াজু, একটি জিলাপি ও দুই পিজ খেজুর দিয়ে টেবিল সাজানো হয়। পরবর্তীতে আজান দেয়ার পাঁচ মিনিট আগে তড়িঘড়ি করে সাদা ভাত ও ছোট দুই পেয়ালার মধ্যে মাংস ও ডিম দেয়া হয়।
তবে সেই পেয়ালায় টেবিলে অবস্থানকারীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার রাখা হয়নি। পরবর্তীতে খাওয়া শুরু করতে গিয়ে স্বল্প এই খাবারে টেবিলে অবস্থানকারী ১২ জন অতিথির মধ্যে ৪/৫জন অতিথি একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করে খাবার খান। আর বাকিরা খাবারের জন্য পরিবেশনকারীদেরকে বারবার ডাকলেও কেই তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
সেখানে খাবার পরিবেশনকারী এক কর্মচারী জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি টেবিলে দুই পেয়ালা খাবার পরিবেশন করার পর সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় তারা আর পরিবেশন করতে পারেননি।
এদিকে খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জাগো নিউজকে বলেন, যাদেরকে খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা যথাযথভাবে খাবার পরিবেশন না করে লুটপাট করেছে।
খাবার তৈরিরস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, আমন্ত্রিত রোজাদাররা খাবার না পেয়ে টেবিল ছেড়ে সেখানে গিয়ে প্লেট নিয়ে দাঁড়িয়েছ রয়েছেন। পরবর্তীতে এসব মানুষের হট্টগোল দেখে লুকিয়ে রাখা খাবার বের করে সেখানে পরিবেশন করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন আমন্ত্রিত অতিথি জাগো নিউজকে জানান, তাদেরকে ডেকে এনে অপমান করা হয়েছে। সারাদিন রোজা রেখে প্রশান্তি নিয়ে ইফতার করা তো দূরের কথা ইফতার নেয়ার জন্য তারা একটু পানিও খেতে পারেননি।
এমএম/বিএ/আরআইপি