তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি


প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ৩০ জুন ২০১৫

চলতি বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তিস্তায় তৃতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে তিস্তা নদীতে ব্যাপক হারে ভাঙন শুরু হয়েছে। সোমবার তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০) উপর দিয়ে প্রবাহের পর মঙ্গলবার তা বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসায় নদীর তীরবর্তী এলাকায় এই ভাঙন শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়িবাড়ি গ্রামের তিস্তা বাজার এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ডানতীর বাঁধের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ৪ নম্বর স্পার বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙনে ওই এলাকার প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

এলাকাবাসী জানান, ভাঙন অব্যাহত থাকলেও ডালিয়া পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই এলাকার বসবাসকারী আব্দুল মজিদ (৪৫), মোক্তার আলী (৬২) ও আজমত আলী (৫৩) উজানের ঢলে তিস্তার পাড়ে বন্যা এরপর ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের ফলে প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি তিস্তা নদীর গর্ভে চলে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরো অনেক আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

তাদের অভিযোগ, ভাঙনের বিষয়ে পাউবো অফিসকে জানালেও কোনো কর্মকর্তা ভাঙন এলাকা দেখতে আসেননি এবং ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়নি।

উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ডালিয়া পাউবোর পওর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুরুতুজ্জামান জাগো নিউজকে জানান, ভাঙন ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

জাহেদুল ইসলাম জাহিদ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।