যেসব শর্ত মেনে সমাবেশ করতে হবে বিএনপিকে
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল (রোববার) বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসার অনুমতি দেয়া হয়নি।
সমাবেশ করতে যে ২৩টি শর্ত দেয়া হয়েছে সেখানে এমন নির্দেশনাই দেয়া হয়েছে। বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
শর্তগুলো হলো
১. এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়।
২. স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
৩. অনুষ্ঠান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জনস্বার্থ, রাষ্ট্র ও জননিরাপত্তাবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
৪. উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
৫. ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
৬. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন স্থানে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৭. অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৮. স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানস্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে উন্নত রেজুলেশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৯. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ পথে আর্চওয়ে স্থাপন করতে হবে এবং অনুষ্ঠানে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. নিজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থলে আগত সব যানবাহন তল্লাশি ব্যবস্থা করতে হবে।
১১. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানস্থলে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১২. অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
১৩. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেকশন স্থাপন করা যাবে না।
১৪. অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তার বা ফুটপাতের কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
১৫. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক-শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
১৬. অনুমোদিত অনুষ্ঠান ব্যতীত মঞ্চকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১৭. অনুষ্ঠান শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা পূর্বে লোকজন-সভাস্থলে আসতে পারবে।
১৮. বিকেল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
১৯. অনুমোদিত সময়ের পূর্বে কিংবা পরে অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
২০. কোনো ধরনের লাঠি-সোটা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
২১. মিছিল সহকারে অনুষ্ঠানস্থলে আসা যাবে না।
২২. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২৩. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানোর ব্যতিরেকে ওই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে ২৭টি শর্ত দিয়েছিল ডিএমপি।
এমএম/বিএ/আরআইপি
