দেশে আবারও অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্র চলছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৭
ফাইল ছবি

দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালে নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৭ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক–শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, নানাভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেয়ার নামে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অচল করে দিয়েছেন। ত্রাণ দিয়ে আবার সড়ক পথেই ফিরবেন। এটাতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা।

কাদের বলেন, দেশে গণঅভ্যুত্থানের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। পরিবর্তন চাইলে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। জনগণ চাইলেই কেবল পরিবর্তন হবে। তার আগে গণঅভ্যুত্থান করে জনপ্রিয় শেখ হাসিনাকে হটাবেন, তা দুঃস্বপ্নের নামান্তর, তা দেখে লাভ নেই।

খালেদা জিয়া চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে দেশে ফিরে এসেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, অসুস্থ নেত্রী গতকাল সড়ক পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গেছেন। সেখানে আপনাদের কর্মসূচি ঠিক নেই। আজ সকালেও সাড়ে তিন ঘণ্টা লেট করে সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রাওনা হয়েছে। এটাই অসুস্থার লক্ষণ। এ বয়সে শরীরতো চলতে হবে। জোর করে আজকে আপনি যাচ্ছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি (খালেদা জিয়া) কত ত্রাণ দিবেন? অথচ শত শত ত্রাণের গাড়ির সরবরাহের পথ আপনি বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা কোনো রাজনৈতিক দায়িত্বশীলতার পরিচয়?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সরকারি দল। দেশ শান্তিতে চলছে। কি প্রয়োজন বেগম জিয়াকে বাধা দিয়ে নিজেদের ক্ষতি করা? আমরা কেন ক্ষতি ডেকে আনবো? আমরা সারা পথে তার খবর নিয়েছি। চকোরিয়ায় রেস্ট হাউজ দেয়ার জন্য আমি বলেছি, পথে তাদের দেরি হলে খাবারের ব্যবস্থা করার জন্যও আমি বলেছি। আমরা সন্মান করতে জানি। আপনারা অধম হলে, আমরা উত্তম হবো না কেন?

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিভিন্ন সেতুতে ওয়ে স্কেলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বাধ্য হয়ে এ অবস্থা রেখেছি। তা নেতৃবৃন্দ (মালিক ও শ্রমিক) ভালো করেই জানেন। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
চালকদের উদ্দেশ্য বলেন, দেখে শুনে গাড়ি চালাবেন। আপনাদের অনেকই যখন ঘাতক বলে, তখন আমার কষ্ট হয়। কারণ এ শ্রমিকরাই রাস্তা সচল রেখে উন্নয়নের চাকাকে সচল রেখেছে। তাই গাড়ি যখন চালাবেন তখন বেপরোয়া হবেন না।

তিনি বলেন, রাস্তায় তিন চাকার গাড়ির দাপট কমলেও ইদানিং সড়কে মূর্তিমান আতঙ্ক হচ্ছে মোটর সাইকেল। হেলমেটবিহীন আরোহী, প্রতি গাড়িতে তিনজন, চারজন পুরো পরিবার নিয়ে মোটর সাইকেলে চড়ে। সব মোটরসাইকেল আরোহীই দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।

সংগঠনের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক প্রমুখ।

এইউএ/এএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।