খালেদা দেশে ফেরায় সরকারের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরায় সরকারের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে’ এক আলােচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা শেষ না হওয়া সত্ত্বেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন থেকেই সরকারের মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করছে। তাদের মধ্যে সাংঘাতিক আশঙ্কা ও ভয়ভীতি কাজ করছে। যার কারণে গত দুই দিন ধরে সরকার সারা দেশে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে।

আমির খসরু বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে প্রশ্ন করে এতগুলো মামলায় পরোয়ানা নিয়ে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন আপনাদের মধ্যে কোনো আশঙ্কা কাজ করছে কি না। আমি তাদেরকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি বিএনপির মধ্যে কোনো আশঙ্কা কাজ করছে না। বরং সরকারের মধ্যই চরম ভয়ভীতি কাজ করছে। কারণ সরকার জানে সব বাধা অতিক্রম করে আজ বিমানবন্দরে জনসমুদ্র হবে।’

আওয়ামী লীগের মধ্যে বর্তমানে কোনো রাজনীতি নেই এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা বেঁচে আছে গুম, খুনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোড়ে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তারা নিঃশেষ হয়ে গেছে।’

প্রধান বিচারপতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বিষয়টি এখন দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার। জনগণ বুঝতে পেরেছে সরকার বিচার বিভাগকে বিশ্বাস করে না। তারা সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চায়।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমত উল্লাহ, শাহ মো: নেছারুল হক, ওলামা দলের নেতা শাহ মো: মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

এমএম/এআরএস/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।