মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নির্বাচনের বিপক্ষে তরিকত ফেডারেশন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে যে কোনো নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ব্যক্তি ও দল যাতে অংশ নিতে না পারে সে জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন।
বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এই দাবি জানায় দলটি। সংলাপের সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এ সময় অন্যান্য কমিশনাররা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ নিয়ে ২১টি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করল ইসি।
দলটি ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এগুলো মধ্যে রয়েছে, ভোটগ্রহণে ইভিএম পদ্ধতি চালু করা। নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫০ লাখ করা।নির্বাচনের সময় কোনো অপশক্তি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ যেন বিঘ্নিত না হয় এবং জনগণের মালামাল ও নিরাপত্তা গ্রহণের জন্য ইসির তত্ত্বাবধায়নে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা। রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্বাচনে কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শিক দল নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা। তফসিল ঘোষণার ৬০দিন আগে ভোটার তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।
বিকেলে বাংলাদেশ জাতিয় পার্টির (বিজেটি) সঙ্গে ইসির সংলাপসূচি থাকলেও দলটি বিশেষ কারণে আসতে পারবে না জানিয়ে পরবর্তীতে ইসির কাছে সময় চেয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারবাহিকতায় আজ এই বৈঠক হয়।
৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছে ইসি। ২৪ আগস্ট থেকে দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময় শুরু হয়েছে।
এইচএস/এআরএস/পিআর