‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পাশে নিতে সরকার ব্যর্থ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৬ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ছবি-ফাইল

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমনকি বাংলাদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করলেও জাতিসংঘসহ প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশগুলোকে পাশে নিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হওয়ার প্রধান কারণ কূটনীতিক ব্যর্থতা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাবিশ্ব সোচ্চার হলেও বর্তমান সরকারের ভূমিকা নতজানু। কারণ একটাই, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই। শুরু থেকে আশ্রয়ের সন্ধানে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিয়ে মৃত্যুর গুহায় ঠেলে দিয়েছিল সরকার।

বিএনপির এ নেতা বলেন, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মতই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আচরণ করেছে সরকার। এমনকি মিয়ানমার বাহিনীর মত কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই এই নিরীহ জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করা হয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার বাহিনীর বর্বতা শুরু হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা তাদের পাশে দাঁড়াতে তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ তাদের পাশে দাঁড়ায়। এমনকি বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানিয়েছিল বিএনপি।

রিজভী বলেন, বিএনপির দাবি অনুযায়ী সেনাবাহিনী মোতায়েনের ফলেই এখন রোহিঙ্গা উপদ্রুত এলাকায় অনেকটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। সরকার যে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিল না তার প্রমাণ হলো বিএনপির ত্রাণ তৎপরতায় বাধা দান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দেশে যে সংকট তৈরি হয়েছে এমন সংকট ১৯৭৮ ও ১৯৯২ তে বিএনপি সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান সংকটেও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হলেও তারা (সরকার) সাড়া না দিয়ে একপক্ষ নীতি অবলম্বন করছে। অথচ সরকার এই জাতীয় সংকটের কোনো সুরাহা করতে পারছে না।

এমএম/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।