ব্যর্থ হলে খালেদার পরামর্শ নিন, শেখ হাসিনাকে দুদু
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াও দেশ পরিচালনা করেছেন। ব্যর্থ হলে তার পরামর্শ নিন। এত অহংকার করার কিছু নেই। নিউইয়র্কে বসে আপনি যেসব কথা বলছেন আমরা লজ্জিত। বেশি অহংকার করে কথা বলবেন না।’
রোববার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদু এসব কথা বলেন। চাল ও শিশুখাদ্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য গঠনের দাবিতে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণ-সংস্কৃতি দল।
‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশে দুর্ভিক্ষের অবস্থা সৃষ্টি হয়, আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু থাকে না’ এমন দাবি করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ এক ধরনের নীরব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখী হয়েছে।
দুদু বলেন, ‘১৯৭০ সালে শেখ মুজিবুর রহমান আট আনা সের চাল খাওয়াবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। কিন্তু ৭২ পরবর্তী সময়ে যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তখন দেশে একটি বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। চালের ক্রয়ক্ষমতা ছিল না সাধারণ মানুষের। বাজারও ছিল চালশূন্য। আওয়ামী লীগের কর্তৃত্বে লুটপাটের কারণে শেখ মুজিবুর রহমান এক ধরনের ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছিলেন। তার কন্যা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় যাবার আগে ১০টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। আজকে চাল প্রায় ৭০ টাকা কেজি। দেশের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ শহরে থাকলে এটা বোঝা যায় না। গরিব মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নেই। একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে।’
প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে দুদু আরও বলেন, আপনি শেখ হাসিনা হয়ত ভুলে গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আপসহীন। বিএনপি ও ২০ দলের পেছনে ফেরার কোনো রাস্তা নেই। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যা কিছু করা দরকার তাই করবে বিএনপি। এজন্য আপনাকে বলছি- অহংকার করার কিছু নেই, সমঝোতায় আসুন। অন্যথায় আপনাকে ইতিহাসের ভয়াবহ আন্দোলনের মুখোমুখী হতে হবে।
দেশের চলমান রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি আগেই বলেছিল অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য বর্ডার খুলে দিন। আপনারা খুলতে চাননি। পরে তাদের আসতে দিয়েছেন। তারা আমাদের দেশে থাকবে এমন দেশ আমাদের নয়। তাই তাদের ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক অথবা সামরিক যে পদক্ষেপই হোক এটা জোড়দারের জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এস আল-মামুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
এমএম/জেডএ/এমএস