ট্রানজিট বন্ধুত্ব নয় দাসত্ব : খালেদা
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে হওয়া ট্রানজিট চুক্তিকে দাসত্ব বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘বন্ধুত্ব হয় সমানে সমানে। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে বন্ধুত্ব করতে চাই না। সমানে সমানে না হলে তা হবে দাসত্ব।’
রোববার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে আজীবন রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেয়ার সমোলোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নয় রাজতন্ত্র চলছে। এক পরিবার দেশ শাসন করছে। সাধারণ মানুষ ভাত পাবে না। আর একটা পরিবার আজীবন সুবিধা পাবে।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভাত-কাপড় পাক আর না পাক সেই পরিবারের নিরাপত্তাসহ সব সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা থাকতেই হবে। যারা দেশের ও মানুষের স্বার্থ না দেখে পরিবার ও দলের স্বার্থ দেখে তাদের জনসমর্থন কখনই থাকবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, বন্ধুত্ব ভালো কিন্তু স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নয়। এ সময় সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার যদি যমুনা সেতু পার হয়ে উত্তরবঙ্গে যান তাহলে টোল দিতে হবে কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে সেই টোল দিতে হবে না।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা জুডিশিয়াল পুলিশ, র্যাব বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ছাড়া চললে সাধারণ জনগণ তাদের গণধোলাই দিয়ে চ্যাপ্টা করে দেবে তাই তাদের জনগণকে এত ভয়।
এ সময় দলীয় আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদের মতভেদ ভুলে দলের স্বার্থে কাজ করুন। যে যাই বলুক দল সুসংগঠিত রয়েছে। অতীতে যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল এবং যারা দলের জন্য কাজ করেছে তাদের এবার মূল্যায়ন করা হবে।
# প্রাণনাশের ভয়ে প্রণবের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছিলাম : খালেদা
এমএম/এসএইচএস