মিয়ানমারে চাল কিনতে যাওয়া দুর্বলতার প্রকাশ : নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের চাল কিনতে যাওয়া মানে আমাদের দুর্বলতার প্রকাশ করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যা, নারী- শিশু নির্যাতন চলছে, যা দেখে বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে গেছে। সেখানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম স্ত্রীকে নিয়ে চাল কিনতে গেলেন। দেশের মানুষ চাল কিনতে পারছে না। আর তিনি (কামরুল ইসলাম) গেলেন আনন্দভ্রমণে। মিয়ানমারে সরকারের চাল কিনতে যাওয়া মানে দেশকে ছোট করা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দশম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীতে মহানগর নাট্যমঞ্চে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করি না, আর করবও না। সবার উচিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকার বিএনপিকে তাদের পাশে দাঁড়াতে বাধা দিচ্ছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আসুন আমরা মানবতার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই। সকলের সহযোগিতা নিন। সমস্যার সমাধান করুন। বিএনপি পাশে আছে। সকলেই একত্রে কাজ করলে সারাবিশ্ব জানবে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল একত্রে কাজ করছে। ফলে দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাধ্য হবে।

সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিএনপি করি বলে আত্মমানবতার পাশে দাঁড়াতে পারবো না, গ্রেফতার করেন। এটা হতে পারে না। এসব বন্ধ করুন। যারা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে চায় তাদের সহযোগিতা করতে দিন। আপনারা সরকারে আছেন বিদায় শৃঙ্খলা রক্ষা করুন। যারা ত্রাণ নিয়ে যাবেন তাদের ত্রাণ দিতে দিন। কিন্তু আপনাদের দিয়ে আসবে তারপর আপনারা অন্য লেভেল লাগিয়ে বিতরণ করবেন তা হবে না।

তিনি আরও বলেন, চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে দুই জাহাজ পঁচা চাল এনেছে সরকার, যা খাবার অনুপযোগী।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু প্রমুখ।

এমএম/জেডএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।