সংসদের ভেতরে এরশাদ-রওশন গ্রুপের আলাদা বৈঠক
জাতীয় সংসদের ভেতরেই বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতার কার্যালয়ে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে এবং অন্য এক কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের নেতেত্বে আরও একটি বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির এরশাদ গ্রুপ।
এ বিষয়ে পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ সাংবাদিকদের বলেন, সংসদীয় দলের বৈঠক হবার আগে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে আমার অনুমোতি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আমাদের আগে থেকে সংসদীয় দলের বৈঠকের বিষয় জানানো হয়নি তাই আমি সেখানে যাইনি।
এদিকে রওশন এরশাদের গ্রুপের বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এর মাধ্যমে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো গ্রুপ নেই, কোনো বিরোধীও নেই। পার্টির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে পার্টি চলছে।
বৈঠকের বিষয় সাংবাদিদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা আমদের জানা নেই। সংসদীয় দলের পক্ষ থেকে পার্টির চেয়ারম্যানকে আহবান করা হয়েছিল। কিন্তু উনি কি কারণে বৈঠকে উপস্থিত হননি তা আমার জানা নেই। তাছাড়া সংসদে আরো একটি বৈঠক হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
বিরোধী দলীয় উপনেতা ইস্যুতে বলেন, বিরোধী নেতা রওশন এরশাদ এ বিষেয়ে আগেই সিন্ধান্ত জানিয়েছেন। এরপর আর কিছু বলার থাকে না। তিনি (বিরোধী দলীয় নেতা) যে সিন্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত আছে। এর আগে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ কাজী ফিরোজ রশিদকে উপনেতা করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন। এর একদিন পরেই পার্টির চেয়ারম্যান উপনেতা ইস্যু স্থগিত করার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন। এরপরেই বিরোধী দলীয় উপনেতা ইস্যু স্থাগিত রয়েছে।
বিরোধী দলীয় নেতার নেতৃত্বে সংসদী দলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন, বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ইয়াহিয়া চৌধুরী, বিরোধী দলীয় নেতার রাজনৈতিক উপদেষ্টা গোলাম মশিহসহ প্রায় ২০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্টির বর্তমান মহাসবি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাসহ প্রায় ১৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।