রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
ছবি-ফাইল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিগতভাবে এক সুরে কথা বলতে হবে। এই সমস্যা সমাধান ক্ষমতাসীন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য হওয়া প্রয়োজন। কারণ মিয়ানমারে সেনা চৌকিতে হামলা সেখানকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সৃষ্টি। অথচ এর দায় রোহিঙ্গাদের ওপর চাপিয়ে তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে।’

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনও ধর্ম নেই। তাদের ধর্ম হচ্ছে- খুন, গুম আর দুর্নীতি।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কার দেয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি আওয়ামী লীগ নিজের মনে করছে। তারা শেখ হাসিনাকে নোবেল দেয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা বলার মধ্যে যদি কেউ চ্যাম্পিয়ন হন, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি নোবেল পুরস্কার পেতেই পারেন। এতে আমাদের কোনো হিংসা নেই। নোবেল কমিটি যদি শেখ হাসিনাকে নোবেল দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কলুষিত হতে চায়, হতেই পারে।’

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে দলের নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা বলি ম্যাডাম আসলে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিব, আন্দোলন করব, এই সরকারের পতন ঘটাব। কিন্তু তিনি (খালেদা জিয়া) আন্দোলন করার চাবি নিয়ে যাননি। কোনো নেতাকর্মীকেও সঙ্গে নিয়ে যাননি। সবকিছুই তিনি দেশে রেখে গেছেন। আমরা যদি আন্দোলন করে তার অনুপস্থিতিতে সরকারের পতন ঘটাতে পারি তাহলে তিনি বরং আমাদের উপর খুশি হবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য গেছেন। তিনি সেখানে এক মুহূর্তে থাকতে চান না। চিকিৎসা শেষ দেশে ফিরবেন।’

ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের সভাপতি এমএ হালিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির দক্ষিণের সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা প্রমুখ।

এমএম/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।