জামায়াতের সঙ্গে ভোটের রাজনীতি করে বিএনপি : রিপন
বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ-দর্শন দিয়ে বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির ভোটের রাজনীতি। কোনো আদর্শের মিল নেই। জামায়াতের রাজনীতি জামায়াত করছে। আর আমরা জিয়াউর রহমানের দর্শনের রাজনীতি করছি।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে শুক্রবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি রাজনীতি এখন সম্পূর্ণ জামায়াত-নির্ভর। তাদের বাঁচতে হলে জামায়াত নির্ভরতা ছেড়ে আবারো জিয়ার আদর্শে ফিরে আসতে হবে।
এমন বক্ত্যর জবাবে রিপন বলেন, এটি তিনি নিজস্ব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তার মতামতের সঙ্গে বিএনপির আদর্শের কোনো মিল নেই। বিএনপি জিয়ার আদর্শে গণতন্ত্র ও দেশের স্বার্থে কাজ করছে। তিনি বলেন, দেশে লুটতরাজতন্ত্র চলছে। সরকারের সহযোগিতায় এসব লুটতরাজ হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত অর্থনৈতিক খাতকে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
ড. আসাদুজ্জামান বলেন, জনগণের গচ্ছিত আমানত লুণ্ঠন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে উনি জবাব দেন ওরা ডাকাত। ডাকাত ধরা অর্থমন্ত্রীর কাজ। তিনি ডাকাতদের না ধরে বলে দেন ওরা ডাকাত। অর্থমন্ত্রীর সমস্যা কোথায় জনগণ তা জানতে চায়। জনগণ ব্যাংকগুলোকে সচল রাখার জন্য সরকার গোপনে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। ব্যাংকের আমানত নষ্ট করার জবাব অর্থমন্ত্রীকে দিতে হবে।
ব্যাংকিং খাতে হরিলুট হলেও অর্থমন্ত্রী এগুলো না দেখে চোখ বন্ধ করে থাকেন। কিন্তু এসব দেখার দায়িত্ব তার। সরকারের আশির্বাদপুষ্ট দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের আবারো রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাংকগুলোতে পুনর্নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দেশে জবাবদিহিতা না থাকা এবং শক্তিশালী বিরোধী দলের পরিবর্তে ‘গৃহপালিত ও পাতানো’ বিরোধী দল থাকার কারণেই সরকার ইচ্ছেমতো কাজ করছে বলে অভিযোগ বিএনপির এই মুখপাত্রের। তিনি বলেন, এ অবস্থা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ।
এমএম/বিএ/আরআই