সাক্ষাৎ ফি ২৭০০ ডলার!
নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের জন্য নিজের সাক্ষৎ ফি ২৭০০ ডলার করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। হিলারি কেবল তার নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গেই মন খুলে কথা বলবেন বিনিময়ে তার কাছ থেকে নেবেন ২৭০০ ডলার। কাজেই ২৭০০ ডলার দিয়ে যেকেউ তার সাথে দেখা করতে পারছেন না। খবর এএফপির।
এদিকে হিলারির আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী জেব বুশ তহবিল সংগ্রহের জন্য একই পন্থা অবলম্বন করেছেন। তবে তার অংকটা একটু বেশি তিনি তার সুপার প্যাকে প্রত্যেক সমর্থকের কাছ থেকে নিচ্ছেন ১০০০০ ডলার।
২০১০ সালে তহবিল সংগ্রহ করার জন্য তৈরী করা আইনে তহবিল সংগ্রহে কোনো সীমা নির্ধারিত না থাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় চলছে ডলারের ছড়াছড়ি।
তাই হিলারি ক্লিনটন তার নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহে ‘লাঞ্চ ডিনার সুপার প্যাক’ বাদ দিয়ে ‘কনভার্সেশন সুপার প্যাকে’র আয়োজন করেছেন। এ আয়োজনে সমার্থকরা তার সঙ্গে করমর্দন ও সংক্ষিপ্ত সময় আলোচনার সুযোগ পাবেন। বিনিময়ে পকেট থেকে খসাতে হবে ২৭০০ ডলার।
সপ্তাহে এমন আয়োজনের মাধ্যমে হিলারি অন্তত চার থেকে ছয়জন ধন কুবেরদের সঙ্গে দেখা করছেন। হিলারি ক্লিনটন এ যাবত ৪০টি তহবিল সংগ্রহের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেছেন।
তার নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল, বন্ধু আত্মীয়স্বজন, প্রভাবশালী ডেমোক্রেটস, কার্যনির্বাহী, এক সহযোগী ফেসবকু প্রতিষ্ঠাতা, স্বামী বিল ক্লিনটন, ক্লিন এনার্জি বিলিওনিয়র টম স্টেফারসহ আরো অনেকে। এমনকি, তার তহবিল সংগ্রহ করতে ২৯ জুন গান গাইবেন বিখ্যাত রকার বন জোভি। অন্যদিকে তাকে টেক্কা দিতে একের পর এক কৌশল আবিষ্কার করে যাচ্ছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেব বুশ।
জেব তার সমর্থকদের কাছ থেকে প্রতি ইভেন্টে তুলছেন ১০০০০ ডলার। প্রসঙ্গত, নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ করতে সুপার প্যাক পদ্ধতি প্রথম বারের মতো ব্যবহার করেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ২০১২ সালের নির্বাচনে তিনি সর্বমোট ১০০ কোটি ডলার তুলেছিলেন।
তবে হিলারি ও জেব ওবামার চেয়েও বহুগুণ বেশি তহবিল তুলছেন। নির্বাচনী তহবিলের মোটা অংকটি আসছে পুঁজিপতিদের কাছ থেকে। আর এ জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রে তাদের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তাদের কাছ থেকে তহবিল আদায়ের এ প্রতিযোগিতার নিন্দা জানিয়েছে অনেকেই।
হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনে জয়ী হলে আনপেইড স্পিস অর্থাৎ বিনা পারিশ্রমিকে ভাষণ দেয়ার ঘোষণা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। তিনি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি নির্বাচিত হলে ভবিষ্যতে বক্তৃতার জন্য কোনো সম্মানী নেবেন না।
এসকেডি/এমএস